বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সভাপতি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী আবু বাকের মজুমদার।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অভিযোগ করেন বাকের মজুমদার। তিনি বলেন, ‘মির্জা আব্বাস ডাকসু নির্বাচনের কোনো কিছুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। কিন্তু তাঁর (মির্জা আব্বাস) আজ এখানে প্রবেশ করা মানে একটা ভিন্ন বার্তা যাচ্ছে দেশবাসীর কাছে। মির্জা আব্বাসের আজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার কোনো সুযোগ নেই, রাইট (অধিকার) নেই। প্রবেশ করেছেন কেন, এটা সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখের আশপাশে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছেন বলেও দাবি করেন আবু বাকের মজুমদার। এসব নেতা-কর্মী মির্জা আব্বাস এনেছেন কি না, সে প্রশ্ন রাখেন বাগছাসের এ নেতা।
এদিকে মির্জা আব্বাসের ঢাবিতে যাওয়ার খবর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সন্ধ্যায় তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মিজানুর রহমান সোহেল জানান, এ রকম খবর মির্জা আব্বাসও জেনেছেন। ইউটিউবের একটি ভিডিওতে এমন খবর প্রচার করা হয়েছে। সোহেল বলেন, ‘এটা একটা গুজব। আজ বেলা ১১টা থেকে স্যার গুলশানে আছেন। এখনো এখানেই আছেন। ব্যাংকের একটি জরুরি মিটিং ছিল স্যারের। রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক আছে। এখান থেকে মিটিংয়ে যোগ দেওয়ার কথা আছে।’
এদিকে ছাত্রদলের নেতারা ভোট কারচুপির অভিযোগ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে গেলে সেখানে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। সেখানে ট্রেজারার অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ এসেছে, আমার অফিসে নাকি মির্জা আব্বাস এসেছেন, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য। আমি বলতে চাই, যে অভিযোগ করেছে, তার বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। সে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছে আমার সম্পর্কে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা জায়গা ক্যামেরার আন্ডারে, এটা চেক করা হোক এবং যে এই মিথ্যা কথা বলেছে, তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’