গণতন্ত্রের জন্য অসামান্য অবদান রাখায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা দিয়েছে কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে কানাডার প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া ক্রেস্ট ও সনদপত্র সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই এ সম্মাননা দেওয়া হলেও আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টা জানাল বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আপনাদেরকে জানাতে চাই, কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও) দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর অসামান্য অবদান। তিনি যে এখনো গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য কারাবরণ করছেন, অসুস্থাবস্থায় গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটি দেশনেত্রীকে মাদার অব ডেমোক্রেসি অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।’
সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদে দেখা যায়, ‘ডেমোক্রেসি হিরো’ ক্যাটাগরিতে খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখ আছে, বাংলাদেশে ও বহির্বিশ্বে অনগ্রসর জনগণের জন্য গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শান্তি ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য খালেদা জিয়াকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। ক্রেস্টে তারিখ উল্লেখ রয়েছে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই।
এতো দেরিতে পুরস্কারের বিষয়টি জানানোর কারণ জানতে চাইলে বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার অসুস্থতাসহ নানা কারণে বিষয়টি এত দিন জানানো হয়নি।’
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ৮১ দিন পর গত ১ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলার সাজায় কারাগারে যান। দুই বছর কারাবাসের পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের বিশেষ বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে বাসায় থাকার অনুমতি পান তিনি।