পদ্মা সেতুর নির্মাণ ঠেকাতে না পেরে বিএনপি এখন সেতু উদ্বোধনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে লাশ ফেলার ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পদ্মা সেতু নিয়ে বারবার বিএনপির লুটপাটের অভিযোগ কাল্পনিক বলেও মন্তব্য করেন কাদের।
আজ শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বাসভবনে ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেলসহ মেগা প্রকল্পগুলো দেখে বিএনপি নেতাদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে।
এ সময় কাদের দাবি করেন, পলিটিক্যাল হ্যালুসিনেশনে ভুগতে থাকা বিএনপির মহাসচিব একের পর এক মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন। পদ্মা সেতু দেখে বিএনপি অন্তরজ্বালায় ভুগছে—এ সত্য স্বীকার করে নেওয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
বিএনপির মহাসচিব পদ্মা সেতু নিয়ে বারবার লুটপাটের কাল্পনিক অভিযোগ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিকৃত মস্তিষ্কের নতুন আবিষ্কার। শতভাগ স্বচ্ছতা নিয়েই পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বলে জানান সেতুমন্ত্রী।
পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির কাল্পনিক অভিযোগ বিএনপির মহাসচিব করছেন, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ দিয়ে যদি প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে মেগা প্রকল্প নিয়ে মেগা মিথ্যাচারের জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়েছিল, এরপর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এমনটা জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে যে অভিযোগ বিশ্বব্যাংক করেছিল, পরে কানাডার আদালত পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে তা নাকচ করে বাংলাদেশকে নির্দোষ রায় দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, তারপর বিশ্বব্যাংকই স্বীকার করছে, পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়ে তারা ভুল করেছে। এর পরও কি বিএনপির মহাসচিব পদ্মা সেতুর স্বচ্ছতা নিয়ে মিথ্যাচার করবেন? প্রশ্ন রাখেন ওবায়দুল কাদের।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন: