হোম > রাজনীতি

জাতীয় পার্টির ঐক্য প্রক্রিয়া হোঁচট খেল শুরুতেই

সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গড়া জাতীয় পার্টি দফায় দফায় ভেঙে এখন পাঁচ টুকরা। দলটি শেষবার ভাঙনের মুখে পড়েছে এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদের নেতৃত্বে। পাঁচ ভাগের মধ্যে দলীয় প্রতীক লাঙ্গলের মালিকানা হাতে থাকা জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা) বর্তমানে সংসদের প্রধান বিরোধী দল। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের আনুকূল্যে মাত্র ১১ আসন নিয়ে সংসদে বা বাইরে কোথাও কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না দলটি। এমন প্রেক্ষাপটে জাতীয় পার্টির সব অংশকে একীভূত করে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে গড়ে তুলতে তৎপরতা চালাচ্ছেন দলটির সাবেক ও বর্তমান বিভিন্ন অংশের কয়েকজন নেতা। সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, ভবিষ্যতে সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে রাজনীতির মাঠে সরব হতে চায় জাপা। এই লক্ষ্যে ব্র্যাকেটবন্দী সব একীভূত করার অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। প্রক্রিয়াটি সফল হলে দলের পদত্যাগকারী, বহিষ্কৃত ও নিষ্ক্রিয় অনেকে আবার জাপার ব্যানারে সক্রিয় হতে পারেন। তবে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে সম্মেলনের মাধ্যমে আলাদা কমিটি করার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ সামনে আসায় ঐক্যের প্রক্রিয়া অনেকটাই থমকে গেছে।

যদিও রওশনপন্থী অংশের কো-চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন বলেছেন, ঐক্য প্রক্রিয়াকে তাঁরা স্বাগত জানাবেন। মিলন বলেন, ‘এমন একটা প্রক্রিয়া চলছে, তা শুনেছি। আমরা  সব সময়ই ঐক্যের পক্ষে। একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু হলে আমরা তাকে স্বাগত জানাব।’

একাধিক সূত্রমতে, জাপাকে একীভূত করার প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করছেন দলের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। দলের বেশ কয়েকজন সাবেক নেতাকে নিয়ে এরই মধ্যে তিনি একাধিক বৈঠকও করেছেন। সোহেল রানা ২০০৯ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। পরে তিনি এইচ এম এরশাদের নির্বাচনবিষয়ক উপদেষ্টাও হয়েছিলেন। ২০২০ সালে তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেন।

জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ফেব্রুয়ারি থেকে জাপাকে একীভূত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জি এম কাদের, রওশন এরশাদ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বাধীন অংশের একাধিক নেতা প্রক্রিয়াটির সঙ্গে যুক্ত। তবে আন্দালিব রহমান পার্থর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) প্রক্রিয়াটির সঙ্গে নেই।

মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা অবশ্য ওই প্রক্রিয়ার উদ্যোগী ভূমিকার কথা সরাসরি স্বীকার করেননি। তবে তিনি বলেন, ‘এরশাদের লাঙ্গল নিয়ে যদি কেউ আসে, সবাইকে একত্র করতে চায়, আমি তাদের সহযোগিতা করব।’

এ বিষয়ে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমীন হাওলাদার বলেন, ‘এমন একটা প্রক্রিয়া তো শুরু হয়েছিল শুনেছিলাম। বন্ধ হয়ে গেল কেন জানি না।’

জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘জাপাকে একীভূত করার উদ্যোগ চলছে—এমন কিছু জানা নেই। যদি এমন কোনো প্রক্রিয়া শুরু হয়, তবে আমরা সেটাকে স্বাগত জানাব।’

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে এক করার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কারও কোনো আলোচনা হয়নি।’

ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন তারেক রহমান

মায়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তারেক রহমান

হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ৮ বিভাগীয় শহরে একযোগে অবরোধ ইনকিলাব মঞ্চের

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না: সামান্তা শারমিন

খেলাপির তালিকায় নাম: হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আজ আপিল করবেন মান্না

নির্বাচনী সমঝোতা: জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে টালমাটাল এনসিপি

দিনভর ব্যস্ততা, বিকেলে শ্বশুরবাড়িতে তারেক

ভোটের রাজনীতি: বড় দলে বিলীন ছোটরা

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

তারেক রহমানকে ‘কটূক্তি’ করা ব্যক্তিকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বলল বিএনপি