হোম > রাজনীতি

ভয় পেয়েই খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না সরকার: মির্জা ফখরুল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকার ভয় পেয়েই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের শিকার হওয়া ১৪টি পরিবারকে শিক্ষাবৃত্তি ও আর্থিক অনুদান প্রদান উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কালকেও (সোমবার) চিকিৎসকেরা বলেছেন চিকিৎসার জন্য তাঁর বাইরে যাওয়া খুব দরকার। কিন্তু এই সরকার তাঁকে বাইরে যেতে দিচ্ছে না। বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য তারা (সরকার) দেশের বাইরে যেতে দেয় না। কারণ বিদেশে গিয়ে যদি ফিরে আসেন, তাহলে তারা তাঁকে সামাল দিতে পারবে না। তারেক রহমান যদি দেশে আসেন, তাহলে এখানে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে। এই ভয়েই তারা সেটা করতে দেয় না।’ 

বিএনপি আবারও জেগে উঠেছে দাবি করে এর মহাসচিব বলেন, ‘গোটা দেশের মানুষ দেখছে মানুষ কীভাবে রাস্তায় বেরিয়ে আসছে। প্রায় প্রতিটি থানা-উপজেলায় বড় বড় মিছিল হয়েছে। এর মধ্যেও তারা (সরকার) থেমে নেই। সমস্যাটা ওই জায়গায় হাসিনার, আওয়ামী লীগের এত নির্যাতন-নিপীড়ন, এত হত্যা, এত খুন-গুমের পরেও বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। বিএনপি আবারও ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসাবশেষ থেকে জেগে উঠছে। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় তাদের (সরকার) রাগের কারণ, ভয়ের কারণ।’

দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরা (সরকার) বড়াই করছে। সিঙ্গাপুর বানিয়ে দিয়েছে, মালয়েশিয়া বানিয়ে দিয়েছে, মানুষের পার ক্যাপিটা নাকি ২ হাজার ৮০০ ডলার হয়ে গেছে। আর নিজেদের চা-শ্রমিকেরা ১২০ টাকা প্রতিদিন পায় না। তারা আন্দোলন করছে, সংগ্রাম করছে। অন্যদিকে শতকরা ৪২ জন দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। তারা দুবেলা দুমুঠো খেতে পায় না। তার পরেও তারা বলবে, আমরা নাকি উন্নয়ন দেখতে পাই না। আপনারা তো আওয়ামী লীগের যাঁরা আছেন, তাঁরা জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভারী করেছেন।’

তারেক রহমানও আয়নাঘরের শিকার 
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও ‘আয়নাঘর’ নামে গোয়েন্দা সংস্থার আলোচিত নির্যাতন সেলের শিকার হয়েছিলেন—এমন অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘আয়নাঘর’ নিয়ে সমালোচনা করে অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মানুষকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের যে টর্চার সেল আছে আয়নাঘর, সেই আয়নাঘরে নিয়ে যায়, যাদের মেরে ফেলতে হয়, তাদের মেরে ফেলে, যাদের রেখে দিতে হয়, রাখে, টর্চার করে। বছরের পর বছর তাদের সেখানে আটকে রাখে। এখানে অনেকের নাম শোনা গেছে, যাঁরা প্রায় ৮ থেকে ৯ বছর ১০ বছর ধরে আটকা আছেন। সৌভাগ্যক্রমে যাঁরা বেরোতে পেরেছেন, তাঁদের অনেকে বিদেশে চলে গেছেন। সেখান থেকে তাঁরা বলছেন যে, এখানে এ ধরনের একটা সেলে তাঁদের আটকে রাখা হয়েছিল। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তিনি নিজে বলেছেন যে, আমিও (তারেক রহমান) সেখানকার একজন ভিকটিম।’

তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করলেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারতের কূটনীতিকের সঙ্গে ‘গোপন’ বৈঠকের কথা জানালেন জামায়াত আমির

নাহিদ শিক্ষকতা ও পরামর্শ দিয়ে বছরে আয় করেন ১৬ লাখ টাকা

তারেক রহমানের বাড়ি-গাড়ি নেই, আছে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সম্পদ

হাসনাতের বছরে আয় সাড়ে ১২ লাখ টাকা, ব্যাংকে ২৬ লাখ টাকার সোনা

খালেদা জিয়ার প্রয়াণে ছায়ানট ও উদীচীর শোক প্রকাশ

খালেদা জিয়াকে হত্যার দায় থেকে হাসিনা কখনোই মুক্তি পাবেন না: নজরুল ইসলাম খান

‘মা ঋণ নিয়ে থাকলে জানাবেন, পরিশোধ করব, কথায় আঘাত পেলে ক্ষমা চাচ্ছি’, জানাজায় তারেক রহমান

তারেক রহমানের হাতে ভারতের শোকবার্তা তুলে দেন জয়শঙ্কর

গৃহবধূ থেকে আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া