হোম > রাজনীতি

মির্জা ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার রাতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ঢাকার উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় তাঁকে আদালতে হাজির করার পর আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’

রাতে মির্জা ফখরুলকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। তবে শুনানির সময় তাকে এজলাসে নেওয়া হয়নি।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মির্জা ফখরুলের পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। 

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দিনের আদালতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত মির্জা ফখরুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীরা দুপুর ১টার দিকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। ওই মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে পুলিশ রমনা থানায় মামলা দায়ের করে।

এর আগে আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করে ডিবি পুলিশ। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে রাত সোয়া ৮টার দিকে তাকে আদালতে নেওয়া হয়।

রাত সোয়া ৯ টার দিকে মির্জা ফখরুলের জামিনের আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। ৪০ মিনিট শুনানি হয়।

তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলে উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন মেজবাহসহ ৫০ জনেরও বেশি আইনজীবী।

জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের পিপি আব্দুল্লাহ আবু ও রমনা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ফকির।

শুনানিতে মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মির্জা ফখরুলকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। এই মামলার এজাহারে ঘটনাস্থলে মির্জা ফখরুল উপস্থিত ছিলেন এই ধরনের কোনো কথা উল্লেখ নেই। মির্জা ফখরুল অসুস্থ। তাকে আজ রোববার গুলশানের বাসভবন থেকে আটক করে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলায় সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই।

পক্ষান্তরে রাষ্ট্রপক্ষে পিপি আবদুল্লাহ আবু বলেন, গতকাল সমাবেশ নিয়ে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র করে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। গাড়ি ভাঙচুর করেছে। পুলিশ হত্যা করেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে। এই দায়-দায়িত্ব মির্জা ফখরুল এড়াতে পারেন না। তার পরিকল্পনায় এই ঘটনা ঘটেছে।

আদালতে হট্টগোল: মির্জা ফখরুলের পক্ষে বিএনপি সমর্থক একজন আইনজীবী শুনানি করতে গিয়ে বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। তারা হামলা করে বিএনপির ওপর দোষ চাপিয়েছে। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা হইচই শুরু করেন। পরে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরাও চিৎকার শুরু করেন। এদিকে মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবিতে আইনজীবীরা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে মিছিল সমাবেশ করেন।

ঢাকা-১২ আসন এলাকায় বিক্ষোভ-মিছিলের ডাক এনসিপির

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের ওপর হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর নগ্ন আঘাত: জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট

ভারতীয় হাইকমিশন বন্ধ ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিক্ষোভের ডাক

শোক ও ঐক্যের মাঝে একটি সুযোগ সন্ধানী মহল নৈরাজ্য সৃষ্টি করে চলেছে: যুব বাঙালি

বিক্ষোভ মিছিল বাতিল করে এনসিপির অবস্থান কর্মসূচি

খালেদা জিয়ার অবস্থা আগের চেয়ে অনেক বেশি স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ

বিশৃঙ্খলা ও হামলা স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি: আ স ম রব

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না: মাহমুদুর রহমান মান্না

হাদি হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তারেক রহমান