পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়েছে কি না এবং সেটার পরিমাণ কত তা পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আগে কোনো টাকা ওঠানো হয়েছে কি না এবং উঠিয়ে থাকলে কোথায় গেছে—এসব বিষয় গুরুত্বসহকারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। দুদকের পক্ষ থেকে বিএফআইইউকে (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) চিঠি দেওয়া হয়েছে তথ্য সরবরাহ করার জন্য।
আজ রোববার সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘অনুসন্ধান দ্রুত গতিতে চলছে। দুদক যার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে তাঁকে ডাকতে বাধ্য না। উনাকে (বেনজীর) সুযোগ দেওয়া হয়েছে দুদকে হাজির হওয়ার জন্য। তিনি যদি না আসেন তাহলে আইন তাঁর নিজস্ব গতিতে চলবে।’
বিদেশযাত্রায় দুদক কেন নিষেধাজ্ঞা চায়নি এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক আইনজীবী বলেন, বেনজীরের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্য আসার পর দুদক জব্দ চাইল। দুই দফায় জব্দ হলো (দুই দফায় সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত)। এখন প্রশ্ন বিদেশযাত্রা রোধ করা যাবে কি না? কিন্তু এরই মধ্যে গণমাধ্যমে এসেছে তিনি বিদেশ চলে গেছেন। এখন ৬ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ভুক্তভোগীরা বেনজীরের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক আইনজীবী বলেন, দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ হলে দুদকে আবেদন করতে পারবে। তবে অন্য কোনো অপরাধের ক্ষেত্রে ভিকটিম চাইলে মামলা করতে পারবেন।
আরও খবর পড়ুন—