ফিলিস্তিনের বাংলাদেশে পড়তে আসতে ইচ্ছুক ১৫০ জন নারী শিক্ষার্থী ভিসা জটিলতায় পড়েছেন। তাঁরা চট্টগ্রামে অবস্থিত এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে ভর্তি হয়েছিলেন।
সরকারি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এসব শিক্ষার্থী এর আগে নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করে ভিসা পেয়েছিলেন।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনে ফিলিস্তিনের ১৫০ নারী শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। ভর্তির পর তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকার ভিসা দেয়। কিন্তু ফিলিস্তিনে যুদ্ধের কারণে তাঁরা সঠিক সময়ে বাংলাদেশে আসতে পারেননি। এর মধ্যে তাঁদের অনেককে দেওয়া ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে তাঁদের অনেকে বাংলাদেশে পড়তে আসতে চাচ্ছেন।
এই ১৫০ নারী শিক্ষার্থীর অনেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার স্থায়ী বাসিন্দা।
সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পুনরায় ভিসা ইস্যু করার জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু তাঁদের ভিসা দেওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আপত্তি জানান। তাঁর আপত্তির কারণে নারী শিক্ষার্থীরা ভিসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম এ অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন। আজকের পত্রিকাকে মঙ্গলবার তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগ) মো. শামীম খান বলেন, ফিলিস্তিনের শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে তাঁরা পুনরায় যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে আবেদন করলে ভিসা ইস্যু করা হবে।