হোম > জাতীয়

আবরার হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেমি কারাগার থেকে পালিয়েছেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমি। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক দিন পর জেল থেকে পালান তিনি। কিন্তু বিষয়টি এত দিন গোপন ছিল। জানা যায়, জেমি আবরার হত্যা মামলা ৩ নম্বর আসামি ছিলেন। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ।

জানতে চাইলে কারা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, এ ঘটনায় ৬ আগস্ট কারা অধিদপ্তর কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেছে। সেখানে পলাতক এই বন্দী সম্পর্কে বলা আছে।

এর আগে আজ সোমবার সন্ধ্যায় মুনতাসির আল জেমি জেলখানা থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি নিজের ফেসবুক আইডিতে জানান আবরারের ছোট ভাই ফাইয়াজ। বিষয়টি আদালত ও বাদীপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

আবরার ফাইয়াজ তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি জেলখানা থেকে পালিয়ে গেছে ৫ আগস্টের পরে। অথচ আমাদের জানানো হচ্ছে আজ, যখন ওর আইনজীবী কোনো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে আসেননি তখন।’

তিনি লিখেছেন, ‘ফাঁসির আসামির তো কনডেম সেলে থাকার কথা ছিল, সে পালায় কীভাবে! পালানোর পরও এ তথ্য বাইরে না আসা তো এটাই প্রমাণ করে যে তাকে ধরতেও কোনো চেষ্টা করা হয়নি। পূর্বে থেকেই আরও ৩ জন পলাতক।’

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহীদ মিনারে প্রতিবাদ মিছিল করবেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার রাত ১১টায় তাঁদের মিছিল করার কথা রয়েছে।

এদিকে যেকোনো দিন আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের জন্য নিম্ন আদালতের নথি) এবং এ মামলায় দণ্ডিত আসামিদের করা আপিল শুনানি শেষে এটি কিউরিয়া অ্যাডভাইজারি ভল্ট (অর্থাৎ যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করা হবে) হিসেবে রেখে দেন।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী পিটিয়ে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

এ মামলায় আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নিম্ন আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়। গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম সরকার, খন্দকার বাহার রুমী, নূর মুহাম্মদ আজমী ও রাসেল আহমেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল জব্বার জুয়েল, লাবণী আক্তার, তানভীর প্রধান ও সুমাইয়া বিনতে আজিজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন।

অন্যদিকে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী ও মোহাম্মদ শিশির মনির।

শেখ হাসিনাকে ফেরতের ব্যাপারে এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মধ্যরাতে প্রাথমিকের শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত, রোববার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা

ব্যালটের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন এসপিরা

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

জিয়া পরিবারের আর কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবে না: রিজওয়ানা হাসান

পোস্টাল ভোট গণনায় সংশোধনী ও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

আগামী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন হবে ঐতিহাসিক—নতুন এসপিদের প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত, জানাল কাতার সরকার

তফসিল নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ ১০ ডিসেম্বর