যুবদল নেতা আরিফ সিকদার হত্যার ঘটনায় রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলীকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল ওয়াহাব এই নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি শামসুর জামান বিপু।
শামসুর জামান বিপু জানান, যুবদল নেতা আরিফ হত্যা মামলায় সুব্রত বাইনকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার পুলিশ পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম তাঁর ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আরিফ হত্যা মামলার আসামিরা সুব্রত বাইনের সহযোগী বলে জানা গেছে। মামলা তদন্তের সময় জানা গেছে, সুব্রত বাইনের নির্দেশে তাঁরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। রিমান্ডে সুব্রত বাইনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে যুবদল নেতা হত্যার ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।
রিমান্ড আবেদনের পর সুব্রত বাইনের আইনজীবী তা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডে পাঠানোর পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত সুব্রত বাইনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৩ জুন তদন্ত কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে সুব্রত বাইনকে যুবদল নেতা আরিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখান আদালত।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ এপ্রিল রাতে হাতিরঝিল থানাধীন নয়াটোলা মোড়ল গলির ‘দি ঝিল ক্যাফে’র সামনে ঢাকা মহানগর উত্তরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সহ-ক্রীড়া সম্পাদক আরিফ সিকদারকে গুলি করা হয়।
আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুদিন পর ২১ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত আরিফের বোন রিমা আক্তার সুব্রত বাইনের সহযোগী মাহফুজুর রহমান বিপুসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।
মামলাটি বর্তমানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ তদন্ত করছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন মো. ইয়াছিন (১৯), মো. আসিফ হোসেন (২১), মো. অনিক (১৯), মো. মিরাজ (১৯), মো. আশিক (১৯), মো. ইফতি (২৪), জাফর ইমাম তরফদার মন্টু (৪০), রতন শেখ (৪৫) ও আলিফ (১৯)।
গত ২৭ মে সুব্রত বাইন, তাঁর সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ চারজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। পরদিন হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় সুব্রত বাইনের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে সুব্রত বাইনকে কারাগারে পাঠানো হয়।