ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী-কন্যা, ভাই-বোন, বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি এবং ইভ্যালির কার্যক্রম চলা ভবন মালিকের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কেন ফ্রিজ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ইভ্যালির লিগ্যাল টিমের কো-অর্ডিনেটর দাবি করে ইউটিউবে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠায় নিঝুম মজুমদারকে ২ সপ্তাহের মধ্যে হাজির হতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে বোর্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোরশেদ আহমেদ খান। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
আইনজীবী মাহসিব হোসেন জানান, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি কিছু গাড়ি নিলামের জন্য সুপ্রিম কোর্টের একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার এবং র্যাবের ডিজিকে নিলামের স্থানে নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে।
এক গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষেত গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি এবং হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আর ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট।
বোর্ডের সদস্যরা হলেন–স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ ও আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। আর সরকারি বেতনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে আছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর।