অবৈধভাবে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরসহ ১২ জনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের এক তলবি নোটিশের মাধ্যমে তাঁদের দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুদক থেকে তাঁদের স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় এ নোটিশ পাঠানো হয়। দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের পাঠানো তলবি নোটিশে আগামী ৩১ অক্টোবর হারুন অর রশিদ, তাঁর স্ত্রী শিরিন আক্তার, মা জহুরা খাতুন এবং ভাই এবিএম শাহরিয়ারকে দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া শ্বশুর মো. সোলায়মান, দুই চাচা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মতিউর রহমান, হারুন অর রশিদের মামা মো. সুমরাজ মিয়া, খালা মোছা. মিনারা বেগম, ব্যবসায়িক অংশীদার মো. আলাউদ্দিন আল সোহেল, চাচাতো ভাই আল রাসেল ও ব্যবসায়িক অংশীদার রাকিব উদ্দিন দেওয়ান রতনকে আগামী ৩ নভেম্বর দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
দুদকের পাঠানো নোটিশে বলা হয়, সাবেক ডিবি প্রধানসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ডাকা হয়েছে।
পুলিশের এই বিতর্কিত সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ—তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জে নিজ এলাকায় ‘প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট’ বিলাসবহুল রিসোর্ট গড়ে তুলেছেন। মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে ৪০ একরেরও বেশি জায়গা নিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে রিসোর্টটি তৈরি করেন তিনি।
গত ২১ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) দেশের সকল ব্যাংকে চিঠি দিয়ে সাবেক ডিবি প্রধান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে নির্দেশ দেয়। এর আগে হারুন ও তাঁর পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছিল বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
গত ১৮ আগস্ট হারুনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে শুরু করে দুদক।