চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে ১২টি সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে। শিল্প, বাণিজ্য, শিক্ষা, পরিবেশ সুরক্ষা ও পানিসম্পদসহ ১২টি ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে তিন দেশ কাজ করছে।
আজ বুধবার ঢাকায় হোটেল ওয়েস্টিনে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। চায়নিজ এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিএইবি) চীন–বাংলাদেশ শিল্প ও সরবরাহ চেইন সহযোগিতা শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।
রাষ্ট্রদূত সেমিনারের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, চীন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি কুনমিং অনুষ্ঠিত বৈঠকটি ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও তিন দেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার একটি উদ্যোগের অংশ। এ সহযোগিতার মূলনীতি হলো উন্মুক্ত থাকা, স্বচ্ছতা বজায় রাখা ও পারস্পরিক উপকার নিশ্চিত করা। এটি কোনো তৃতীয় দেশকে লক্ষ্য করে নয়, এটাই চীনের বার্তা।
চীন–দক্ষিণ এশিয়া এক্সপোর নবম আসর ও চীন–দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতা বৈঠকের ষষ্ঠ আসরের পাশে গত ১৯ জুন কুনমিংয়ে তিন দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। ইয়াও ওয়েন বলেন, কুনমিংয়ের বৈঠকের একটি ফলোআপ হবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন চীনের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন বাংলাদেশে অবকাঠামো, জ্বালানি ও বন্দরসহ বিভিন্ন খাতে চ্যালেঞ্জ আছে। এগুলো বিবেচনায় নিয়েই চীনা কোম্পানিগুলো এখানে আরও বিনিয়োগ করতে চায়।
ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সামনে পথ চলতে অনেক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
রাষ্ট্রদূত মনে করেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও অনুকূল হলে চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো আরও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। তিনি বলেন, চীনসহ যে কোনো দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চাইলে বিডা সহযোগিতা করবে। বিনিয়োগ বাড়াতে চীনে বিডার একটি অফিস খোলা হবে।
বাংলাদেশে চায়না টাউন নেই, এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমদ বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার আরও সুযোগ রয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে হাইটেক পার্কে চীনা বিনিয়োগকারীরা আরও সুযোগ নিতে পারে।
সিইএবি সভাপতি হান কুনসহ অন্যরা সেমিনারের আলোচনায় অংশ নেন।