এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে সারা দেশে ৩৩ হাজার ৪৭৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১৬ হাজার ৩২২ জন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ১০ হাজার ৮৬৯ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৬ হাজার ২৮৮ জন। আর অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে ৮১ জন পরীক্ষার্থীকে।
এর আগে প্রথম দিন অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বরের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ৩৩ হাজার ৮৬০ জন পরীক্ষার্থী। আর অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার হয়েছিলেন ২৬ জন পরীক্ষার্থী।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে আজ শনিবার এ তথ্য জানা যায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এদিন দেশের ৩ হাজার ৬৮১টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৯ লাখ ৩২ হাজার ১২১ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৪২ জন। এই হিসেবে অনুপস্থিত ছিল ৩৩ হাজার ৪৭৯ জন। শতাংশের হিসেবে যা ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ঢাকা বোর্ডে ৬ জন, রাজশাহী বোর্ডে ৫ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ২ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৭ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ২ জন, মাদ্রাসা বোর্ডে ৫২ জন এবং কারিগরি বোর্ডে ৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সাধারণত এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ে এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পিছিয়ে যাওয়া এ পরীক্ষা গত ১৯ জুন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিলেটসহ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক বন্যা দেখা দিলে গত ১৭ জুন পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। এর আগে গত বছর ৯ মাস পিছিয়ে নভেম্বরে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে তিন বিষয়ে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়।
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন। ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই পরীক্ষা। এতে অংশ নিচ্ছে ২৯ হাজার ৫৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে পুনর্বিন্যস্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী। ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান—এসব বিষয়ের পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে।