হোম > জাতীয়

জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১ হাজার মিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ এই জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৯২ হাজার কোটি টাকা (১ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বাজেট সহায়তা (সাপোর্ট) সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

আজ বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জামালপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোজাফ্ফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

এ ছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী অর্থবছরে (২০২২-২৩) ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৪৬ হাজার কোটি টাকা) বাজেট সহায়তা হিসেবে গ্রহণের কার্যক্রম চলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। 

১ হাজার মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা ব্যয়ের খাত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ বাজেট সহায়তা শিল্পকারখানা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্রদান এবং সামাজিক সুরক্ষায় ব্যয় হবে। 

সরকার জনগণের সুপরিকল্পিত আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনাসহ জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান সরকারপ্রধান। 

সরকারি দলের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে দেশে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে উৎপাদন বেড়ে ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ধান ও সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, আম ও আলু উৎপাদনে সপ্তম, চা উৎপাদনে চতুর্থ স্থানের পাশাপাশি ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে। 

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, বর্তমানে দেশের ৪৩টি জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে। রেলওয়ের যেসব প্রকল্প চলমান আছে, তা বাস্তবায়িত হলে আরও ১৯টি জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। আর ৩০ বছরব্যাপী মাস্টার প্ল্যান সম্পন্ন হয়ে বাকি চারটি জেলাও রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। 

শহীদুজ্জমান সরকারের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত সারা দেশের ৩৫ লাখ ৫২ হাজার ৩৪০ জন গৃহহীন পুনর্বাসিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। সারা দেশে গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। 

কোথাও উপযুক্ত খাসজমি পাওয়া না গেলে জমি কিনে হলেও ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। 

জাতীয় বাজেট সম্পর্কে জানতে: এখানে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের মানুষের ‘মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই’ এ কথাটি চিরতরে বিলুপ্ত করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, পুনর্বাসিত পরিবার ও তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মানবসম্পদে রূপান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সামগ্রিকভাবে আরও সমৃদ্ধ করা হচ্ছে। 

এই সম্পর্কিত পড়ুন:

হামলা ও মব সহিংসতা: পুলিশের শীর্ষ পদগুলোয় রদবদল হতে পারে

নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে: মার্কিন বিশেষ দূতকে প্রধান উপদেষ্টা

হিন্দুত্ববাদী বিক্ষোভের মুখে শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র বন্ধ

‎পুলিশ সদর দপ্তরে ৬ ডিআইজিকে রদবদল

আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নামার আশা সরকারের

এবার দিল্লি ও আগরতলায় ভিসা কার্যক্রম ‘সাময়িক বন্ধ’ করল বাংলাদেশ

হাদির ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণে আদালতের নির্দেশ

ভোটারদের উৎসাহিত করতে জাতিসংঘের উদ্যোগে নতুন ওয়েবসাইট চালু

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে নেতা-কর্মীদের ঢাকায় আনতে চলবে ১০টি বিশেষ ট্রেন

বেনজীরের ফ্ল্যাট থেকে জব্দ ২৪৬ ধরনের মালামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে