ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, করোনার মধ্যে সবাই বিভীষিকাময় জীবন যাপন করছে। উন্নত বিশ্ব সবাইকে টিকার আওতায় এনে সবকিছু ধীরে ধীরে খুলে দিচ্ছে। এতে অনেক উন্নত দেশ এগিয়ে গেছে। অনেক অনুন্নত দেশও তা করার চেষ্টা করছেন। আমাদের দেশে টিকা কোথায় থেকে কীভাবে তার কেবল আশারবাণী শুনতে পাচ্ছি। নিশ্চিতভাবে কবে কোথা থেকে আসবে সেই তথ্য পাচ্ছি না। সরকারের এই বিষয়টি স্পষ্ট করা প্রয়োজন।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে চলতি ২০২১-২২ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন জিএম কাদের।
জিএম কাদের বলেন, দেশে সরকার টিকা প্রদানে যে পরিকল্পনার কথা বলেছে তাদের দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে এক ডোজ টিকা দিতে পাঁচ বছর লাগবে। দুই ডোজ দিতে ১০ বছর লাগবে। এই পরিকল্পনায় এগোলে ১০ বছরে দেশের অর্থনীতি কী হবে তা বুঝতে পারছি না।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সব দেশে স্বাস্থ্য খাতে বেশি বরাদ্দ দিয়ে থাকে। করোনায় সবাই উদ্বিগ্ন ও বিপর্যস্ত। এই সময় স্বাস্থ্য খাতে বেশি বরাদ্দ দরকার। কিন্তু আমাদের এখানে বরাদ্দ খুবই কম। আমি মনে করি স্বাস্থ্য খাতে কমপক্ষে জিডিপির দুই শতাংশ বরাদ্দ দরকার। স্বাস্থ্য খাত শক্তিশালী হলে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণ হলে আমাদের অর্থনীতি চাঙা হবে।
বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, বাজেটে কম বা বেশি খরচ দুটোকেই অস্বাভাবিক বলতে হবে। বৃদ্ধির প্রস্তাব হলে সেখানে দুর্নীতি রয়েছে কী না বা বাজেট যারা প্রণয়ন করেছে তাদের ত্রুটি ছিলো কী-না সেটা দেখা দরকার। আর এর জন্য দায় তাদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনা উচিত। অপরদিকে পরিকল্পিতভাবে খরচ কমানোকে মিতব্যয়ী বলতে পারি। কিন্তু খরচ করতে না পারাকে আমরা অদক্ষতা বলতে হবে।