ভূমধ্যসাগরে তীব্র ঠান্ডায় হাইপোথার্মিয়ায় মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচজনই মাদারীপুর জেলার। ইতালির রাজধানী রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক জরুরি নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশি হলেন—মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের ইমরান হোসেন; একই গ্রামের রতন জয় তালুকদার; সদর উপজেলার ঘটকচর গ্রামের সাফায়েত; সদর উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামের জহিরুল; সদরের বাপ্পী; সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার মামুদপুর গ্রামের সাজ্জাদ এবং কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাইফুল।
দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম কল্যাণ) মো. এরফানুল হকের নেতৃত্বে ও দূতাবাসের একজন ইতালি ভাষী কর্মচারীসহ দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি দল দুর্ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তাঁরা উদ্ধার হওয়া বাকি বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই মৃত সাত বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত হয় দূতাবাস।
ইতালি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিহতদের কোনো তথ্য পায়নি বাংলাদেশ দূতাবাস। কারণ মৃতদের সঙ্গে কোনো শনাক্তকারী নথি ছিল না।
অবৈধভাবে ইউরোপে অভিবাসনের প্রত্যাশায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করলে ২৮৭ জনকে উদ্ধার করে ইতালির কোস্টগার্ড। তাঁদের মধ্যে ২৭৩ জনই বাংলাদেশি। তাঁদের মধ্যে তীব্র ঠান্ডায় জমে মারা গেছেন সাত বাংলাদেশি। বাকিরা মিসরীয় নাগরিক। নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা।