হোম > জীবনধারা > ভ্রমণ

বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরিতে ৭টি সুইমিংপুল, ৪০টি রেস্তোরাঁসহ আরও যা যা আছে 

১ হাজার ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যের জাহাজটিতে সুইমিংপুল আছে সাতটি। আছে ৫৫ ফুট উচ্চতার একটি কৃত্রিম জলপ্রপাত, ৪০টি রেস্তোরাঁসহ পিলে চমকে দেওয়ার মতো আরও অনেক কিছু। গল্পটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরি আইকন অব দ্য সিজের। গতকাল শনিবার সূর্যাস্তের ঠিক আগে মায়ামি বন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে প্রথম ভ্রমণে বেরিয়েছে বিশাল এই জাহাজ। 

ফিনল্যান্ডের তুর্কুর শিপইয়ার্ডে তৈরি হয় রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনালের এই প্রমোদতরি। খরচ হয় ২০০ কোটি ডলার। তারপর পুয়ের্তো রিকো থেমে আটলান্টিক অতিক্রম করার পর ১০ জানুয়ারি মায়ামিতে পৌঁছায়। গত বৃহস্পতিবার জাহাজের নামকরণের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অতিথির তালিকায় ছিলেন বর্তমানে ইন্টার মিয়ামির হয়ে খেলা আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসিও।

জাহাজটি সবচেয়ে বড় প্রমোদতরির তকমা নিজের করে নেওয়ার আগে এই রেকর্ড ছিল রয়্যাল ক্যারিবিয়ানের অপর জাহাজ ওয়ন্ডার অব দ্য সিজ। ওটার দৈর্ঘ্য ছিল ১ হাজার ১৮৮ ফুট। 

পূর্ব ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের সাত দিনের প্রমোদভ্রমণে যাত্রীদের সময় কাটানোর জন্য থাকছে চমকপ্রদ সব আয়োজন। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬০০ জন যাত্রীর ভ্রমণের সুযোগ আছে জাহাজটিতে চেপে। জাহাজের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা কম নয়, ২ হাজার ৩৫০ জন। 

৫০ জনের মতো শিল্পীর নানা ধরনের পরিবেশনা মুগ্ধ করবে অতিথিদের। মজার ঘটনা চিফ ডগ অফিসার নামে আলাদা একটি পদও সৃষ্টি করা হয়েছে বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে। সে রোভার নামের একটি সোনালি রিট্রিভার কুকুর। অবশ্য তার বয়স একেবারেই কম। তাকে দেখাশোনার জন্যও একজন মানুষ আছেন। জাহাজের বিভিন্ন জায়গায় তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে হাজির হয়ে অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে রোভার।

এদিকে এটি রয়্যাল ক্যারিবিয়ানের প্রথম জাহাজ, যেটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজিতে চলবে। তবে সবাই যে এতে খুশি হয়েছে তা নয়। পরিবেশবাদীরা সতর্ক করেছেন যে এলএনজিচালিত জাহাজ বাতাসে ক্ষতিকর মিথেন ছড়াতে পারে।

যদিও তেলের মতো ঐতিহ্যবাহী সামুদ্রিক জ্বালানির তুলনায় এলএনজি বেশি পরিচ্ছন্নভাবে পোড়ে, তবু কিছু গ্যাস বেরিয়ে গিয়ে বায়ুমণ্ডলে মিথেন ছড়ানোর ঝুঁকি আছে। আর মিথেন কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী গ্রিনহাউস গ্যাস।

এবার জাহাজটিতে যাত্রীদের জন্য আরও কী কী আয়োজন থাকছে, তা জেনে নেওয়া যাক।  এটিতে আছে ২০টি ডেক, সাধারণ কামরার পাশাপাশি আছে ২ হাজার ৮০৫টি সুপরিসর স্টেট রুম। ৪০টি ডাইনিং ও বার আছে এতে। এর ডেক ১৬ ও ১৭ জুড়ে ছড়িয়ে আছে ১৭ হাজার বর্গফুটের ওয়াটার পার্ক। এখানে ওপর থেকে প্রবল বেগে নেমে আসার জন্য ছয়টি স্লাইড আছে। এর মধ্যে অন্যতম ৪৬ ফুট উঁচু ফ্রাইটেনিং বোল্ট। আছে ৪০ হাজার গ্যালন পানি ধারণে সক্ষম একটি সুইমিংপুল এবং স্কেটিং করার জন্য অ্যাবসলিউট জিরো নামের বরফাচ্ছাদিত একটি জায়গা। ৫৫ ফুট উচ্চতার একটি কৃত্রিম জলপ্রপাতও মুগ্ধ করবে অতিথিদের।

সূত্র: বিবিসি, সিএনএন ও ডেইলি মেইল

ঘুরে আসুন কাউয়ার চর

দেশে সরকার অনুমোদিত পাঁচ তারা ২০টি হোটেল

২০২৬ সালে ভ্রমণ করার নিরাপদ দেশগুলো

ট্যুর মুরল্যান্ডের ১৪তম বর্ষপূর্তি

বিশ্বে পকেটমারি ও প্রতারণায় শীর্ষে যেসব শহর

বিদেশ ভ্রমণে যেসব ভুলে পর্যটকদের জরিমানা হতে পারে

পাঁচ তারা হোটেলে যেসব ভুল করবেন না

মালদ্বীপ ভ্রমণ এখন আর শুধু ধনীদের জন্য নয়, অনেক সাশ্রয়ী

যে ৭ কারণে বয়স্ক ও তরুণদের ভ্রমণ পরিকল্পনায় তফাত থাকে

সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপনের সুযোগ মিলবে দুই মাস, দিনে ২ হাজারের বেশি পর্যটক নয়