অমর একুশে বইমেলা মানেই ঘরে নতুন নতুন বই। আগের বইগুলো সঠিকভাবে গুছিয়ে না রাখায় সেগুলোর কিছু নষ্ট হয়ে যায়। তা ছাড়া সুন্দর করে গুছিয়ে না রাখলে প্রয়োজনের সময় সঠিক বই খুঁজে পেতে কষ্ট হয়। তাই কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে পারেন—
নতুন বইগুলো কিনে আনার পর পুরোনো সব বই পেছনের সারিতে রাখুন। বইগুলো এমন করে সাজিয়ে রাখুন, যাতে সহজে বইগুলোর নাম চোখে পড়ে।
বইমেলা উপলক্ষে ঘরে একটি নতুন বুকশেলফ কিনতে পারেন। মূল্যবান আসবাব হিসেবে বুকশেলফ ভর্তি বইয়ের তুলনা হয় না।
বই সাজিয়ে রাখার জন্য দেয়ালে বইয়ের তাক তৈরি করে নেওয়া যায়। এতে ঘরের জায়গা যেমন অপচয় হয় না, তেমনি ঘরের সৌন্দর্যও বাড়ে।
যে বইগুলো পড়া হয়ে গেছে, কিন্তু মলাট নতুন, সে বইগুলো বসার ঘরে রাখতে পারেন। আপনার বসার ঘরের এক কোণে বাঁশের কিংবা বেতের ঝুড়িতেও সেই বইগুলো রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বইয়ের ওপরে অবশ্যই কোনো কভার দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। নইলে ধুলো পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
একটু হালকা ধাঁচের গল্পের বই শোয়ার ঘরের বেডসাইট টেবিল বা পড়ার টেবিলে রাখতে পারেন। শোয়ার ঘরে বই রাখার জন্য বুকশেলফ কিংবা বইয়ের ঝুড়ির ব্যবস্থাও করে রাখতে পারেন।
আপনার পড়া পুরোনো বইগুলো কোনো লাইব্রেরিতে দান করতে পারেন।
মাঝেমধ্যে বই বের করে রোদে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ধুলো পড়ে যাওয়া বই সপ্তাহে এক দিন সুতির শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। সঠিকভাবে যত্ন নিলে আপনার শখের বইটি ভালো থাকবে অনেক দিন।
মডেল: তনয় বিশ্বাস ও রুবাইয়াত অদিতি
পোশাক: এলিট লাইফস্টাইল ও ওয়্যারহাউস
ছবি: হাসান রাজা