৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে প্রার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী (২৭ নভেম্বর) পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
গতকাল রোববার (২৩ নভেম্বর) রাতে পিএসসি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। কমিশন লক্ষ করছে যে, এ পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য কতিপয় প্রার্থী আন্দোলন করছেন। কমিশনের পক্ষ থেকে তাঁদের বোঝানো হয়েছে যে, কমিশন ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে এবং প্রার্থীরা বিগত ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে প্রার্থিতার আবেদন করেছেন। আবেদনকারীরা গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ভিত্তিতে কমিশন ১০ হাজার ৬৪৪ জন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করেছে।
এতে আরও বলা হয়, গত ৩ জুন কমিশন এক নোটিশে জানিয়েছিল, ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর, ২০২৫-এ শুরু হবে। প্রায় ছয় মাস আগে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষা শুরুর তারিখ সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। সুতরাং, লিখিত পরীক্ষার জন্য মাত্র দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে—এরূপ প্রচারিত তথ্য মোটেই সঠিক নয়।
আরও বলা হয়, লিখিত পরীক্ষার ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী যথাসময়ে যেন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়—বহু প্রার্থীর এমন দাবি সম্পর্কেও কমিশন অবহিত আছে।
কমিশন মনে করে, বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি একজন প্রার্থীর শিক্ষাজীবনের পাঠাভ্যাসের সঙ্গে অন্তর্গতভাবে সম্পৃক্ত এবং এ পরীক্ষার প্রস্তুতিকাল কোনোভাবেই পরীক্ষার আগের দুই–চার মাস নয়। বিসিএস পরীক্ষার আবেদন পেশ করার পর প্রার্থীরা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত সময়সূচি মোতাবেক পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত থাকবে—কমিশন এমনটিই আশা করে। পরীক্ষা দিতে গড়িমসি বা অনীহা কোনোভাবেই একজন যথার্থ সরকারি চাকরিপ্রার্থীর নিকট থেকে প্রত্যাশিত শৃঙ্খলাবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এমতাবস্থায়, ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রার্থীদের প্রতি কমিশনের অনুরোধ হচ্ছে, তাঁরা যেন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি মোতাবেক ২৭ নভেম্বর থেকে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পিছিয়ে ‘যৌক্তিক সময়ে’ নেওয়ার দাবিতে প্রায় এক মাস ধরে আন্দোলন করছেন কিছু চাকরিপ্রার্থী। পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে গত শনিবার ও গতকাল রোববার (২২ ও ২৩ নভেম্বর) ঢাকা-ময়মনসিংহ ও রাজশাহী-ঢাকা রেলপথ অবরোধ করেন বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সামনে বিক্ষোভ-অবস্থানের পর তাঁদের কর্মসূচি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের কয়েকটি স্থানে।