প্রবল বর্ষণের কারণে প্রাণঘাতী বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার ১ কোটিরও বেশি বাসিন্দা। লস অ্যাঞ্জেলেস এলাকার কিছু অংশে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে প্রায় অর্ধ বছরের সমান বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে প্রায় ৯ লাখেরও বেশি মানুষ। সংবাদমাধ্যম সিএনএন এসব তথ্য দিয়েছে।
গতকাল রোববার থেকে অঙ্গরাজ্যটিতে প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে আছড়ে পড়ছে তীব্র বাতাস। ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণ ও মধ্য উপকূলের কিছু অংশের জন্য আকস্মিক বন্যা সতর্কতা কার্যকর রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগের দ্বারপ্রান্তে এখন ক্যালিফোর্নিয়া। অঙ্গরাজ্যটির কিছু কিছু জায়গায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি।
ক্যালিফোর্নিয়াজুড়ে প্রায় ৪ কোটি মানুষ বন্যা ব্যবস্থাপনার নজরদারিতে রয়েছে। আটটি কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর গেভিন নিউসম। বেশ কিছু এলাকার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ক্যালিফোর্নিয়ায় সানফ্রান্সিসকো, লস অ্যাঞ্জেলেস, সাক্রামেন্টো, সান দিয়েগো এবং মেট্রো অকল্যান্ড বিমানবন্দরে বাতিল করা হয়েছে সাড়ে তিন শর বেশি ফ্লাইট। এ ছাড়া, বিলম্বিত হয়েছে প্রায় ১৪০০ ফ্লাইট। বন্যার কারণে সান্তা বারবারা বিমানবন্দর বন্ধ এবং সমস্ত বাণিজ্যিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ বিভাগ গতকাল রোববার সামাজিক প্ল্যাটফর্মে বলেছে, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার মালিবুতে প্রবেশ এবং সেখান থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার রাস্তা পাথর এবং ভূমিধসের কারণে বন্ধ হয়ে আছে।
প্রবল বন্যা, ভূমিধস এবং পলি প্রবাহের ঝুঁকির কারণে লস অ্যাঞ্জেলেসের লা টুনা ক্যানিয়ন রোড এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রবল বন্যার তোড়ে ভেসে যাওয়া থেকে গতকাল ৬ জন মানুষ এবং ১২টি কুকুরকে উদ্ধার করেছে সান হোসের দমকলকর্মীরা।
জরুরি অবস্থা ঘোষণার ফলে অত্যাবশ্যক পণ্য সরবরাহ এবং সংগ্রহ, দুর্যোগ পরিষেবা কর্মীদের মোতায়েন এবং মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার আদেশের মতো জরুরি প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।