ঢাকা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ জেলায় গতকাল সোমবার বজ্রপাতে ২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে হুগলি জেলায় ১১, মুর্শিদাবাদে ৯, বাঁকুড়ায় দুই এবং দুই মেদিনীপুরে চারজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বজ্রপাতে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে দুই লাখ রুপি এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার রুপি করে সাহায্য দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর আনন্দবাজার।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক টুইট বার্তায় বজ্রপাতে মৃতদের প্রতি শোক জানিয়েছেন। তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাটমসফেরিক সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক সুব্রত মিদ্যা আনন্দবাজারকে বলেন, কিউমুলোনিম্বাস বা বজ্রগর্ভ মেঘ থেকেই সাধারণত বজ্রপাত হয়। পরিবেশদূষণ বেড়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা আগের থেকে অনেক বেশি থাকছে। ফলে বজ্রপাতের পরিমাণ বাড়ছে। এই বজ্রপাত সাধারণত অল্প জায়গার মধ্যে 'ক্লাউড টু গ্রাউন্ড' অর্থাৎ মেঘ থেকে মাটির দিকে হচ্ছে।
দেশটির আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, শহর এলাকার চেয়ে গ্রামীণ এলাকায় বজ্রপাতে মৃত্যু বেশি হচ্ছে। ফাঁকা মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে অনেকেরই মৃত্যু হচ্ছে। কেননা, কৃষিক্ষেত্রে এখন ব্যবহার করা হয় উন্নত যন্ত্রপাতি। এই সব যন্ত্রে বিদ্যুৎ আকর্ষিত হয়। সেই সঙ্গে ফাঁকা মাঠে কোনো উঁচু জায়গা না থাকায় মানুষের ওপর বজ্রপাতের ঘটনা অনেক বেশি হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদেরা পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হলে ফাঁকা মাঠে না গিয়ে বাড়িতেই থাকতে হবে। বাইরে বের হলেও বজ্রপাতের সময় বাড়ির নিচে আশ্রয় নিতে হবে।