হোম > বিশ্ব > ভারত

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন: হ্যাটট্রিকে নজর আম আদমির, দ্বিতীয় জয়ে বিজেপির

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে এবার ত্রিমুখী লড়াই হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

দিল্লি বিধানসভার ৭০টি বিধানসভা আসনের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির (এএপি) অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জন্য এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হচ্ছে এএপি, বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে।

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি গত দুই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছিল। তবে এরপর থেকেই সরকার ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগের মুখে পড়ে, যার মূল কেন্দ্র ছিল বাতিল হওয়া মদ নীতি।

আম আদমি পার্টির বিগত দুই আমলের ভুল-ত্রুটির কারণে বিজেপি এবারের নির্বাচনে জয়ের আশায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিশাল জনসভা ও তাদের শক্তিশালী নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা দলটিতে আশার আলো জোগাচ্ছে। দিল্লির রাজনীতির মূলস্রোত থেকে ১০ বছর দূরে থাকা কংগ্রেসও প্রত্যাবর্তনের আশায় রয়েছে।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর একাধিক মন্ত্রী, বিশেষ করে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মনীশ সিসোদিয়া মাসের পর মাস জেলে ছিলেন। কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে এবং পরে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন আতিশী মারলেনা। তবে কেজরিওয়াল বলেছেন, জনগণের ‘সততার সার্টিফিকেট’ পাওয়ার পরই তিনি পুনরায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করবেন।

বিভিন্ন ইস্যুতে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর তথা উপরাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতের কারণে এএপি সরকার কার্যত সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে রায় দিয়েছে, নির্বাচিত সরকারের হাতে পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে এবং উপরাজ্যপালের এখতিয়ার মাত্র তিনটি বিষয়ে—ভূমি, জননিরাপত্তা ও পুলিশ। কিন্তু কেন্দ্র সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করে উপরাজ্যপালকে আমলাদের নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা প্রদান করে।

মনীশ সিসোদিয়া ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রেও মূল ভূমিকা ছিল উপরাজ্যপালের অনুমোদিত মদ কেলেঙ্কারি তদন্তের। কেজরিওয়ালকে গত বছরের মার্চ মাসে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি প্রায় ছয় মাস কারাগারে ছিলেন। মনীশ সিসোদিয়া ১৭ মাসের বেশি সময় ধরে কারাগারে ছিলেন।

এ ছাড়া, এএপির একাধিক মন্ত্রী ও নেতা যেমন—সঞ্জয় সিং, সত্যেন্দ্র জৈন এবং আমানতুল্লাহ খানকেও বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। দুর্নীতির অভিযোগ আপের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই দলটির উত্থান হয়েছিল গান্ধীবাদী সমাজকর্মী আন্না হাজারের নেতৃত্বে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে।

এএপি তাঁর প্রথম দফার সরকার গঠনের মাত্র ৪৮ দিনের মাথায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সরকার থেকে সরে এসেছিল। তবে ২০১৫ সালের নির্বাচনে কেজরিওয়াল দিল্লির জনগণের কাছে ক্ষমা চান এবং আরও একবার সুযোগ চান, প্রতিশ্রুতি দেন যে, তিনি পূর্ণ মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।

দ্বিতীয়বার নিরঙ্কুশ জয় নিশ্চিত হয় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নকেন্দ্রিক শাসন মডেলের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদিও এটিকে ‘রাবড়ি সংস্কৃতি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তবে দিল্লির এই মডেল এএপিকে পাঞ্জাবেও সাফল্য এনে দেয় এবং অন্যান্য রাজ্যেও তাদের অবস্থান শক্তিশালী করে। এই ফলাফল দলটিকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে সহায়তা করে।

এ মুহূর্তে দিল্লির নির্বাচনে পরাজয় এএপির জন্য বড় ধাক্কা হবে। আর সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিজয় তাদের বিজেপির বিরুদ্ধে এক দুর্দান্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

২০ বছর অন্ধকারে বন্দী, মৃত্যুর হুমকিতে থেমে যাওয়া শৈশব-কৈশোর

ইন্ডিগোর ফ্লাইট বিপর্যয়: পানি–খাবারহীন অবস্থায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা হাজারো যাত্রী

যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জ্বালানি কিনতে পারলে, ভারত কেন পারবে না—প্রশ্ন পুতিনের

ইন্ডিগোতে ফ্লাইট বিপর্যয়: এক দিনে বাতিল ৫৫০-এর বেশি ফ্লাইট

ভারতে পা রাখলেন পুতিন, নিয়ম ভেঙে ‘কোলাকুলি’ করলেন মোদি

অবশেষে ভারত পাচ্ছে রাশিয়ার যুদ্ধ সাবমেরিন, ২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি হচ্ছে

পুতিনের নয়াদিল্লি সফর: ঐতিহাসিক কৌশলগত সম্পর্কের পুনর্নবায়ন নাকি কেবলই আনুষ্ঠানিকতা

রূপের ঈর্ষায় ৩ মেয়েশিশুকে চুবিয়ে হত্যা, দেখে ফেলায় রেহাই পায়নি নিজের ছেলে

স্মার্টফোনে সরকারি অ্যাপ: অ্যাপলের হুমকির পর পিছু হটল ভারত

কমান্ডো, স্নাইপারসহ পুতিনের জন্য ভারতের ৫ স্তরের নিরাপত্তাবলয়