চীনের নতুন ইলেকট্রনিক-ওয়ারফেয়ার সংস্করণ জে-১৬ ডি। শত্রুর রাডার ও যোগাযোগ সিগন্যাল শনাক্ত করতে সক্ষম বহুমুখী এই যুদ্ধবিমান নজরদারি, আক্রমণ ও প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিমানটির ডিজাইনাররা।
চীনা গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নিজেদের জে-১৬ যুদ্ধবিমানের প্ল্যাটফর্মে বিশেষায়িত ইলেকট্রনিক সিস্টেম ও কিছু কাঠামোগত পরিবর্তন যুক্ত করে তৈরি হয়েছে জে-১৬ ডি। এর ফলে এটি বিস্তৃত বায়ুচালিত ইলেকট্রনিক-ওয়ারফেয়ার নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে কাজ করতে সক্ষম।
‘এভিআইসি শেনইয়াং এয়ারক্রাফট ডিজাইন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর প্রকৌশলী আই জিচিয়াং জানিয়েছেন, জে-১৬ডি অন্যান্য যুদ্ধবিমানগুলোর সঙ্গে যৌথ অভিযান চালাতে পারে এবং সমন্বিত ইলেকট্রনিক-ওয়ারফেয়ার সিস্টেম গঠন করতে সক্ষম।
চেহারা ও নকশায় জে-১৬ এর সঙ্গে মিল থাকলেও ‘ডি’ সংস্করণটি ইলেকট্রনিক অপারেশনের জন্য বিশেষভাবে পরিবর্তিত। দুটি যুদ্ধবিমানের পার্থক্য নিয়ে প্রকৌশলী জিচিয়াং বলেন, ‘বাহ্যিকভাবে এই দুটিকে কিছুটা একরকম দেখাতে পারে, কিন্তু বাস্তবে এরা সম্পূর্ণ আলাদা। উদাহরণস্বরূপ জে-১৬ এর নির্দিষ্ট অংশে এখনো ঐতিহ্যগত হ্যাঙ্গার দেখা যায়। কিন্তু জে-১৬ডি এর ওই অংশে একটি অ্যাভিওনিক্স পড সংযুক্ত রয়েছে। এটি হ্যাঙ্গারের নিচে ঝোলানো নয়; বরং পুরো বিমানের সঙ্গে একীভূত একটি উপাদান হিসেবে নির্মিত।’
জিচিয়াং আরও জানিয়েছেন, জে-১৬ডি এর আয়রোডাইনামিক বিন্যাস ইলেকট্রনিক মিশন ও উপকরণের জন্য মানানসইভাবে সমন্বয় করা হয়েছে। জে-১৬ এবং জে-১৬ডি একই প্ল্যাটফর্মে আলাদা ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে উন্নয়ন করা হয়েছে। ফলে কিছু সিস্টেম ও কার্যকারিতা উভয় প্রকারের মধ্যে বিনিময়যোগ্য হলেও প্রতিটির মিশনে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
যুদ্ধক্ষেত্রে জে-১৬ডি এর প্রধান ভূমিকা হলো—শত্রুর সেন্সর ও টেলিকমিউনিকেশন শনাক্ত করে যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটানো যেন নিজেদের আক্রমণকারী ফ্লাইটগুলোকে সুরক্ষা দেওয়া যায় এবং মিশনের সফলতা নিশ্চিত করা যায়।
জিচিয়াং বলেন, ‘ইলেকট্রনিক জ্যামিং ক্ষমতার উদ্দেশ্য হলো শত্রু বিমানগুলোর রাডার সার্চ সক্ষমতা এবং কিছু টেলিকমিউনিকেশন সক্ষমতাকে অচল করে দেওয়া। ফলে যুদ্ধে আমাদের বিমানগুলোর সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে এবং আমরা নির্ধারিত মিশন সফলভাবে সম্পাদন করতে পারব।’