হোম > বিশ্ব > চীন

মহামূল্যবান বিরল খনিজ সরবরাহে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করল চীন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ছবি: সংগৃহীত

বিদেশি কোম্পানিগুলোকে বিরল খনিজ মজুত না করার নির্দেশ দিয়েছে চীন। বৈশ্বিক প্রযুক্তি খাতে গুরুত্বপূর্ণ এ খনিজের সরবরাহে প্রভাব বজায় রাখতে এবং সম্ভাব্য রপ্তানি সীমাবদ্ধতার মধ্যে বিদেশে মজুত রোধ করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে বেইজিং। বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে জানা দুই সূত্রের বরাতে আজ শুক্রবার এ খবর প্রকাশ করেছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।

চীন সতর্ক করে বলেছে, বিরল খনিজ বা সেগুলো থেকে তৈরি পণ্য, যেমন বৈদ্যুতিক মোটর ও গাড়িতে ব্যবহৃত চুম্বক যেসব কোম্পানি বড় আকারে মজুত করবে, তারা আরও কঠোর সরবরাহ সংকটের মুখে পড়তে পারে। শুধু তাই নয়, চীনা কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে অনুমোদিত রপ্তানির পরিমাণ সীমিত করেছে, যাতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত মজুত গড়ে তুলতে না পারে।

বিশ্বের বিরল খনিজ প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রায় ৯০ শতাংশ ও স্থায়ী চুম্বক উৎপাদনের ৯৪ শতাংশ এখন চীনের হাতে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে এ খাতের নিয়ন্ত্রণকে চীন কৌশলগতভাবে ব্যবহার করেছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশটি সাত ধরনের মাঝারি ও ভারী বিরল খনিজকে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ তালিকায় যুক্ত করে। এর ফলে গাড়িশিল্পসহ একাধিক খাতে ঘাটতি দেখা দেয়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সম্প্রতি শুল্কবিরতির সময়সীমা ৯০ দিন বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় বিরল খনিজে চীনের নিয়ন্ত্রণ আলোচনার বড় একটি ইস্যু রয়ে গেছে। মূলত খনিজ উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের কোটাব্যবস্থার মাধ্যমে চীন এর সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যা গত বছর শুধু দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

একটি জরিপে অংশ নেওয়া কোম্পানির অর্ধেকই জানিয়েছে, চীনা প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের বিরল খনিজের আবেদন স্থগিত রাখা হয়েছে বা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। গত জুনে চীন ৩ হাজার ১৮৮ টন স্থায়ী চুম্বক রপ্তানি করেছে। মে মাসের তুলনায় তা দ্বিগুণ হলেও গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৮ শতাংশ কম। দেশটির বাণিজ্য সীমাবদ্ধতা কার্যকরের পর তিন মাসে রপ্তানির পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

জরিপে আরও দেখা গেছে, আবেদনকারী কোম্পানিগুলো আগের রেকর্ডের তুলনায় হঠাৎ বড় অর্ডার দিলে তা ‘মজুত’ হতে পারে—এমন আশঙ্কায় অতিরিক্ত যাচাইয়ের মুখে পড়ছে। এমন ক্ষেত্রে আবেদনপত্র লাইন বাই লাইন খতিয়ে দেখা হয় এবং সামান্য অসংগতি দেখা গেলে বিলম্ব বা প্রত্যাখ্যান হতে পারে।

এ জটিলতার কারণে কিছু পশ্চিমা কোম্পানি তাদের পণ্যের উৎপাদন চীনে সরিয়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মোটর প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘রিগ্যাল রেক্সনর্ড’-এর প্রধান নির্বাহী লুইস পিঙ্কহ্যাম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামলাতে গত চার মাসে তিনি প্রতি সপ্তাহে এক বা দুবার করে জরুরি বৈঠক করেছেন।

সরবরাহ শৃঙ্খলে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে বেইজিং বিরল খনিজের বাজারকে কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

প্রাচীন চীনা সমাজে বলি হতেন নারী-পুরুষ উভয়ই, তবে ভিন্ন কারণে

কূটনৈতিক উত্তাপ চরমে: সাংহাইয়ের মঞ্চে গানের মাঝখানে থামিয়ে দেওয়া হলো জাপানি শিল্পীকে

হংকংয়ে অগ্নিকাণ্ড: বিতর্কের কেন্দ্রে ভবন নির্মাণে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের মাচা

হংকংয়ের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি বেড়ে ১২৮

হংকংয়ে আবাসিক কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ৯৪

হংকংয়ের অগ্নিকাণ্ডটি ১০৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ, নিহত বেড়ে ৬৫

হংকংয়ে বহুতল আবাসিক ভবনে আগুনে নিহত বেড়ে ৪৪, এখনো নিখোঁজ ২৭৯

‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ পর্যটকের মোমবাতির আগুনে পুড়ল মন্দির

যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিতে আসছে চীনের অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরি ‘ফুজিয়ান’

আটকে গেল ৩ চীনা নভোচারীর পৃথিবীতে ফেরা