গরু বা খাসির মাংস প্রাণিজ আমিষের খুব ভালো উৎস। এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন বি১২, কোলিন, জিংক, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, আয়রনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। সেগুলো শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
উঠতি বয়সের শিশুদের মধ্যে সাধারণত জিংক এবং আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। প্রাণিজ আমিষ সে ঘাটতি পূরণে সহায়তা করতে পারে।
ঈদে প্রচুর পরিমাণে মাংসের খাবার রান্না হবে। পছন্দের তালিকায় থাকলেও শিশুরা কতটুকু মাংস খেতে পারবে তা নির্ভর করে তার ওজন, শারীরিক অবস্থা ও বয়সের ওপর। কারণ লাল মাংসের অনেক উপকারিতা থাকলেও এতে রয়েছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। বেশি পরিমাণে খেলে এটি নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ঈদে মাংস রান্নার পদ্ধতির ওপর নজর দিন। অতিরিক্ত লবণ, তেল ও মসলার ব্যবহার যতটুকু সম্ভব কম করে মাংস রান্না করতে হবে। ক্যাপসিকাম, লাউ বা যেকোনো সবজি দিয়ে মাংস রান্না করুন। মাংস যেভাবেই রান্না করুন না কেন, তা সঠিকভাবে সেদ্ধ হতে হবে। শিশুদের মাংস খাওয়ানোর ক্ষেত্রে চর্বি ছাড়া মাংসের টুকরো বেছে নিন।
পরামর্শ
জান্নাতুন নূর নাঈমা, ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান, এভারকেয়ার হসপিটাল