এপ্রিলের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা, মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ শনিবার চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে অতি তাপপ্রবাহ। বেলা তিনটায় চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে দেশে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অবশ্য টানা ১৪ দিন ধরেই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, পটুয়াখালী জেলা ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনে ও রাতে তাপমাত্র প্রায় একই রকম থাকবে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আজ বৃষ্টিরও কোনো আভাস নেই।
তবে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, উত্তরাঞ্চল দিয়ে যে বাতাস প্রবেশ করছে, তাতে কিছুটা জলীয় বাষ্প রয়েছে। ফলে বাতাসের আর্দ্রতা বাড়ছে। এতে শরীর ঘেমে অস্বস্তি বাড়বে। রাতে গরম বাড়তে পারে। তবে বাতাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে সুসংবাদও থাকছে। আগামী পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী বুধ (১৯ এপ্রিল) ও বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাবে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আজ বেলা তিনটা পর্যন্ত ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে হিসাবে রাজধানীতে আজ ছিল ৫৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন। সর্বশেষ ১৯৬৫ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এর আগে ১৯৬০ সালের একই মাসে সর্বোচ্চ একই পরিমাণ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
দেশের অন্য এলাকাতেও তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শিগগিরই বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা না থাকায় গরম আরও বাড়তে পারে। কয়েক দিন ধরে বেশির ভাগ এলাকায় তাপমাত্রা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর বেশির ভাগ এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে।
আর ঢাকায় ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের সর্বোচ্চ রেকর্ডটি ছিল ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি। ২০২১ সালের ২৫ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অবশ্য ঢাকা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৯৬০ সালের এপ্রিলে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও খবর পড়ুন: