দেশে কমতে শুরু করেছে শীতের প্রকোপ। জনজীবনও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে এখনো নদী ও নদী তীরবর্তী এলাকায় ঘন থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে নৌসহ অন্যান্য যান চলাচল।
আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা এবং এর সংলগ্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশের রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ড ও কক্সবাজারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার অবস্থার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এর পরের ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিমদিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় একই এলাকায় ৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮২ দশমিক ৪ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ ছাড়া উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, নিম্নচাপটি বাংলাদেশের উপকূলে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। এটি শ্রীলঙ্কা ও ভারতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। ফলে বাংলাদেশে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। আর নদী অববাহিকায় মাঝারি ও ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে নৌযানগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে হবে।
এদিকে, ঢাকায় বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।