ছোট পর্দার অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর মৃত্যু নিয়ে এখনো রয়েছে ধোঁয়াশা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ নিয়ে যাওয়া হয়। আজ শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে বাদ জুমা চ্যানেল আই চত্বরে হিমুর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক ও অভিনেতা রওনক হাসান।
তিনি জানান, হিমুকে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার বাদ জুমা চ্যানেল আই চত্বরে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে। এরপর লক্ষ্মীপুরে মায়ের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ ছড়িয়ে পড়ে হিমুর মৃত্যুসংবাদ। এর পরই তাঁর মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। কেউ বলেছেন হত্যা, আবার কারও কাছে তা আত্মহত্যা। এদিকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) জ্যোতির্ময় সাহা আজকের পত্রিকাকে জানান, ফ্যানের হ্যাঙ্গারে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রুমে ঝুলছিল হুমায়রা হিমু। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, তাৎক্ষণিকভাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা, তা জানা যায়নি। আমরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরে জানানো যাবে।
অসংখ্য টিভি নাটকে দেখা গেছে হুমায়রা হিমুকে। এর মধ্যে ‘ডিবি’, ‘সোনাঘাট’, ‘চেয়ারম্যান বাড়ি’, ‘বাটিঘর’, ‘শোনে না সে শোনে না’ উল্লেখযোগ্য।
‘আমার বন্ধু রাশেদ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে হিমুর বড় পর্দায় অভিষেক হয়। চলচ্চিত্রের গল্পটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এবং চলচ্চিত্রে তাঁর অসাধারণ অভিনয় সমালোচকদের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিল।