আজ সকালে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। ঢাকা থিয়েটারের উদ্যোগে লাশবাহী ফ্রিজারে করে বেলা ১১টা নাগাদ শিল্পকলা চত্বরে আনা হয় অভিনেতার মরদেহ। গাড়ি থেকে নামানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে একনজর দেখতে ঘিরে ধরেন সবাই। শেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত করেন অনুরাগী ও সহশিল্পীরা। ঢাকা থিয়েটার ছাড়াও অভিনেতাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।
ঢাকা থিয়েটারের পক্ষে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নির্মাতা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘১৯৮৭ সালে রুবেল ঢাকা থিয়েটারে যোগ দেন। এরপর থেকে তিনি আমাদের সক্রিয় সদস্য। আজকের এই শ্রদ্ধা নিবেদন শুধু ঢাকা থিয়েটারের নয়, বরং তাঁকে বিদায় জানাচ্ছে দেশের সব থিয়েটারকর্মী।’
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে বসে নিজের মুক্তিপ্রতীক্ষিত সিনেমা ‘পেয়ারার সুবাস’ দেখার কথা ছিল, রওনাও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সিনেমার উদ্বোধনী শোতে উপস্থিত হওয়ার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা আহমেদ রুবেল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহমেদ রুবেল ১৯৬৮ সালের ৫ অক্টোবর গাজীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত নাট্যকার সেলিম আল দীনের ঢাকা থিয়েটার নাট্যদলের মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করেন তিনি। আহমেদ রুবেল অভিনীত প্রথম টেলিভিশন নাটক গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নযাত্রা’।
এরপর তিনি হুমায়ূন আহমেদের ঈদের নাটক ‘পোকা’য় অভিনয় করেন, যেখানে তাঁর অভিনীত ‘গোরা মজিদ’ চরিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘শ্যামল ছায়া’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘ব্যাচেলর’, ‘গেরিলা’, ‘অলাতচক্র’, ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’, ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ ও সর্বশেষ ‘পেয়ারার সুবাস’।