ইরানের অন্যতম আলোচিত নির্মাতা মোহাম্মদ রাসুলফ। তাঁর চলচ্চিত্রে উঠে এসেছে ইরানের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি। যে কারণে একাধিকবার কারাবরণ করতে হয়েছে তাঁকে। এবারের ৭৭তম আসরের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা পেয়েছে রাসুলফের নতুন সিনেমা ‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’। আর এর জন্য মোহাম্মদ রাসুলফকে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’-এ দেওয়া এক পোস্টে নির্মাতার আইনজীবী বাবাক পাকনিয়া লিখেছেন, ‘ইরানের ইসলামি বিপ্লব আদালত রাসুলফকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। সেই সঙ্গে চাবুক মারা, জরিমানা এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।’
পাকনিয়া আরও জানিয়েছেন, একটি আপিল আদালতে রায়ে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে এবং মামলাটি এখন প্রয়োগের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
আইনজীবী বলেন, ‘চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র নির্মাণ ও প্রকাশ্য বিবৃতি সাজা জারির মূল কারণ, যা আদালতের মতে, ‘দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি’।
সম্প্রতি ইরানি কর্তৃপক্ষ কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে নির্মাতার সর্বশেষ সিনেমা ‘দ্য সিড অব দ্য সেক্রেড ফিগ’ সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। ভ্যারাইটি এক প্রতিবেদনে জানায়, সিনেমাটি যাতে কান উৎসবে প্রদর্শিত না হয়, সে চেষ্টা করছে ইরান সরকার। মোহাম্মদ রাসুলফকে চাপ দেওয়া হচ্ছে যাতে তিনি সিনেমাটি উৎসব থেকে সরিয়ে নেন।
জানা গেছে, দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ সিনেমায় ইরানের বিচারব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরেছেন রাসুলফ। সিনেমার গল্প ইমান নামের এক ব্যক্তিকে ঘিরে, যিনি তেহরানের বিপ্লবী আদালতের একজন তদন্তকারী বিচারক। একসময় দেশব্যাপী রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে। নাগরিকেরা প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। ইমানের মনেও অবিশ্বাস ও বিভ্রান্তি তীব্র আকার ধারণ করে। ১৪ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া কান উৎসবে সিনেমাটির প্রিমিয়ার হওয়ার কথা রয়েছে। উৎসবের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে পাম দ’রের জন্য লড়বে ছবিটি।
গত বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবের বিচারক নির্বাচিত হওয়ার পরও ইরান সরকারের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি অংশ নিতে পারেননি।