আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ব্র্যাকের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। চাকরির কারণে বিভিন্ন দেশে যেতে হয় তাঁকে। সেখানকার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের ছবি তিনি ফেসবুকেও পোস্ট করেন। আর সেসব ছবি দেখে অনেকেই তাঁর চাকরি এবং ঘুরে বেড়ানোর আনন্দের কথা জানেন। কিন্তু আনন্দের মধ্যেও যে কষ্ট আছে, তা অনেকের অজানাই থেকে যায়। সেই অজানা গল্পের কিছুটা হলেও এবার জানান দিয়েছেন তিনি।
মিথিলা জানান, গত দুই সপ্তাহ তিনি উগান্ডায় বিভিন্ন রকম ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ, ফিল্ড ভিজিটে ব্যস্ত ছিলেন। উগান্ডা থেকে ওয়েস্ট আফ্রিকার সিয়েরা লিওনে আসেন সেখানকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট-বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করতে। কর্মশালা শুক্রবার শেষ হয়। শুক্রবার রাতেই ছিল সিয়েরা লিওন থেকে কলকাতায় যাওয়ার ফ্লাইট। শুক্রবার বিকেলবেলা থেকেই প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি সিয়েরা লিওনে। রাজধানী ফ্রিটাউন আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত। সিয়েরা লিওনের এয়ারপোর্ট ফ্রিটাউন থেকে অনেকটা দূরে লুঙ্গি শহরে। ফ্রিটাউন থেকে এক ঘণ্টার পথ। ফেরিতে আটলান্টিক পার হয়ে লুঙ্গি এয়ারপোর্টে যেতে হয়।
মিথিলা বলেন, ‘ঝড়-বৃষ্টির কারণে চিন্তিত ছিলাম। কারণ সমুদ্র যেমন ভালো লাগে, তেমনি উত্তাল সমুদ্র ভয়ও লাগে। আমার ফেরি, যেটাকে ‘‘সি-কোচ’’ বলা হয়, সেটার টাইম ছিল রাত দুইটায়। শেষ পর্যন্ত ভয়ে ভয়ে রাত ১টায় “সি-কোচ” টার্মিনালে গিয়েছিলাম। ফেরি থেকে নেমে টার্মিনাল অবধি বৃষ্টির মধ্যে দৌড়ে যেতে যেতেই ভিজে কাক হয়ে গেলাম। তারপর একটা বাসে চড়ে লুঙ্গি এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে বাজল ভোর ৪টা। আমার ফ্লাইট ছিল এয়ার মারোক, যেটা লাইবেরিয়ার রাজধানী মনরোভিয়া হয়ে কাসাবলানকা যাবে। সাত ঘণ্টার মতো জার্নি করে বেলা দুইটায় কাসাবলানকায় পৌঁছাই। পরে টার্কিশ এয়ারলাইনসে চড়ে অনেক ঝক্কি-ঝামেলা পেরিয়ে ঢাকা আসি।’