আলোচনায় শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খান। পার্টিতে গিয়ে মাদক নিয়ে ধরা পড়েছেন তিনি। মাদক উদ্ধার হয়েছে কন্ট্যাক্ট লেন্সের বাক্স এবং অন্তর্বাস থেকেও। গত ৪৮ ঘণ্টায় তাঁকে নিয়ে আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে আরও একটি নাম। মুনমুন ধামেচা।
পার্টি থেকে আরিয়ানের সঙ্গেই গ্রেপ্তার হন মুনমুন। তাঁর স্যানিটারি প্যাডে লুকিয়ে রাখা ছিল মাদক। শাহরুখের ছেলের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব নিয়েও কথা উঠেছে ভারতীয় নানা সংবাদমাধ্যমে। কে এই মুনমুন? কী করেন তিনি?
জানা গেছে, ধনাঢ্য ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে মুনমুন (৩৯)। পেশায় মডেল। পেশার সূত্রেই বলিউড তারকাদের সঙ্গেও তাঁর ওঠাবসা। গুরু রান্ধাওয়া, অর্জুন রামপালের মতো বলিউড তারকা রয়েছেন সেই তালিকায়। ইনস্টাগ্রামেও বেশ জনপ্রিয় মুনমুন। সেখানে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা সাড়ে ১২ হাজার।
এনসিবির দাবি, জুতা থেকে শুরু করে কন্ট্যাক্ট লেন্সের বাক্সে লুকানো ছিল আরিয়ানদের মাদক। আরিয়ানদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে ১৩ গ্রাম কোকেন, ৫ গ্রাম এমডি, ২১ গ্রাম চরস এবং এমডিএমএর ২২টি পিল। সঙ্গে নগদ ১ লাখ ৩৩ হাজার রুপি। একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে আরিয়ানের বিরুদ্ধে। নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস ১৯৮৫ আইনের ৮সি, ২৭, ২২ নম্বর ধারা, এছাড়া এমডিএমএ ও এক্সট্যাসি আইনের অন্তর্গত ১৪(১), ১৪ (বি), ২০(বি) ধারায় মামলা করা হয়েছে আরিয়ানের বিরুদ্ধে।
এনসিবির সূত্রে জানা গেছে, আরিয়ান খান এবং আরবাজ মার্চেন্ট এনসিবিকে সঠিকভাবে বলছেন না যে, কে তাঁদের মাদক সরবরাহ করতেন? আরবাজ বলছেন যে গোয়ার একজন মাদক সরবরাহকারী তাঁকে মাদক সরবরাহ করত। মুনমুন জানান, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি পাঁচতারা হোটেলের কাছে একজন মাদক ব্যবসায়ী তাঁকে কিছু মাদকদ্রব্য দিয়েছিলেন। কিন্তু সঠিক নাম কেউই বলছেন না। জেরা করার জন্য আজ আরবাজ ও আরিয়ানের বিশেষ বন্ধু শ্রেয়স নায়ারকে গ্রেপ্তার করতে পারে এনসিবি।
দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বাজেয়াপ্ত করা হয় আরিয়ানের ফোন। খতিয়ে দেখা হয়, শেষ কয়েকদিন কার কার সঙ্গে ফোনে ও হোয়াটস অ্যাপে কথা বলেছেন আরিয়ান। এরপরই আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচা, নুপূর সারিকা, ইশমিত সিং, মোহক জয়সওয়াল, বিক্রান্ত চোকার, গোমিত চোপড়াকে গ্রেপ্তার করে এনসিবি।
গতকাল আদালতে আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে জানান যে এই পার্টিতে যাওয়ার টিকিটও ছিল না আরিয়ানের কাছে, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এমনকি আরিয়ানের কাছে কোনও মাদকদ্রব্য ছিল না। তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করাই ভুল বলে দাবি করেন আইনজীবী।