হোম > শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: ঢাবির কলা অনুষদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

মবিন মজুমদার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৩ ডিসেম্বর (শনিবার)। প্রতিবারের মতো এবারেও এই ইউনিটে প্রতি সিটের বিপরীতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন। আসনপ্রতি ৩৭ পরীক্ষার্থী। তাই এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো করার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। একদম শেষ মুহূর্তে এসেও প্রয়োজন বিশেষ কিছু প্রস্তুতি। চলুন, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পর্কে একনজরে জেনে নেওয়া যাক।

প্রথমত কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান—এই তিনটি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হয়। এখানে সাধারণ জ্ঞান বারবার ভুলে যাওয়া সাধারণ একটি বিষয়। তাই এই শেষ মুহূর্তে এসে অবশ্যই সাধারণ জ্ঞান অংশটুকু বারবার রিভিশন দেওয়া প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে প্রতিবার যে বিষয়গুলো আসে, সেগুলো বিশেষ গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে। যেমন মুক্তিযুদ্ধ, জুলাই বিপ্লব, বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, জাতিসংঘ ও এর অঙ্গ সংস্থা, নোবেল-অস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কার ও খেলাধুলা অবশ্যই দেখতে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক তথ্যগুলো একনজরে আরেকবার দেখে গেলে কমন পাওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে যায়।

বাংলা এবং ইংরেজির ক্ষেত্রে নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত দুটির জন্যই সমানতালে প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। প্রথমত, নৈর্ব্যক্তিক অংশে বাংলার জন্য আরেকবার মূল বইটি রিভিশন করা যেতে পারে। এর পাশাপাশি ব্যাকরণের জন্য ৯ম থেকে ১০ শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ বইটি একনজর দেখে নেওয়া যেতে পারে। শেষ মুহূর্তে প্রতিবার প্রশ্ন আসা টপিক যেমন সমাস, উচ্চারণ, কারক, ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধানের মতো বিষয়গুলো দেখা প্রয়োজন। কবি পরিচিতি অংশেও বিশেষ জোর দিতে হবে। এসবের পাশাপাশি বাংলায় অনুবাদ করা, সারমর্ম লেখা, কোনো কিছু ব্যাখ্যা করে লেখার দক্ষতাটুকুও খুব দরকার লিখিত অংশের জন্য।

অনেকের জন্যই আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয় ইংরেজি। ইংরেজিতে ভালো করার জন্য ইংরেজি ব্যাকরণ এবং ভোকাবুলারির কোনো বিকল্প নেই। শেষ মুহূর্তে ইংরেজির নতুন নিয়মকানুন শেখাটাও প্রায় অসম্ভব। তাই ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের উচিত হবে, নতুন কিছু এখন না শিখে পুরোনো সবকিছুই আবার ঝালাই করে নেওয়া। বারবার পড়া এবং প্রশ্নব্যাংক সমাধানের চেষ্টা করা। তবে অবশ্যই ইংরেজি টেক্সট বইটি খুব ভালোভাবে একবার হলেও পড়ে ফেলতে হবে। কারণ, ব্যাকরণসহ অনেক প্রশ্নই মূল টেক্সট বই থেকে আসে।

পরীক্ষার এই অন্তিম মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ রাখাও ভীষণ প্রয়োজন। কেননা, এই সময়ে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়লে, কোনোভাবেই একটি ভালো পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব না। তাই শরীরের প্রতি নজর দিয়ে বিষয়গুলো বারবার অনুশীলনের মাধ্যমেই সম্ভব একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নেওয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সিট নিশ্চিত করা। শুভকামনা সব শিক্ষার্থীর জন্য। পূরণ হোক সব পরীক্ষার্থীর ঢাবিতে পড়ার স্বপ্ন।

লেখক: শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

স্বামীর পর স্ত্রীও পেলেন আচার্য স্বর্ণপদক

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ায় টিউশন ফি নেই

শান্তর লেন্সে প্রাণপ্রকৃতি

আইইউবিএটিতে ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল ২০২৫

ব্যাংকে ব্যবহৃত ১০টি ইংরেজি বাক্য (পর্ব-২)

কানাডার ইউনিভার্সিটি অব গুয়েলফ প্রেসিডেন্টস বৃত্তি

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি: ‘স্কুলিং কাঠামো’ বাতিল চাইল তিতুমীর শিক্ষার্থীদের একাংশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা: লিখিত অংশে চাই বাড়তি গুরুত্ব

কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তি

সরকারের ‘বদলি কৌশলে’ পিছু হটলেন শিক্ষকেরা