হোম > শিক্ষা

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

ফাইল ছবি

ডিজিটাল লটারিতে দেশের সব সরকারি এবং মেট্রোপলিটন ও জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ জন শিক্ষার্থী।

তাদের মধ্যে ৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন ও ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন নির্বাচিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্কুলে ভর্তির লটারিপ্রক্রিয়া শুরু হয়।

লটারিপ্রক্রিয়া শেষ হলে বেলা পৌনে ৩টায় অনুষ্ঠানস্থলে ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার উপপরিচালক ইউনুস ফারুকী নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ঘোষণা করেন।

ইউনুস ফারুকী বলেন, এখন দুটি অপেক্ষমাণ তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হবে।

ডিজিটাল লটারির ভর্তির ফল নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (https://gsa.teletalk.com.bd) এবং যেকোনো টেলিটক মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে বলেও তুলে ধরেন এ কর্মকর্তা।

সরকারি স্কুলে ফাঁকা ১৪ হাজার আসন

৬৮৯টি সরকারি স্কুলে ১ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬টি আসনে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল, ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন শিক্ষার্থীকে লটারিতে নির্বাচনের পর এ স্কুলগুলোর ১৪ হাজার ৭৫টি আসন ফাঁকা থাকছে।

বেসরকারি স্কুলে ৮ লক্ষাধিক আসন খালি

মহানগর এবং জেলা ও উপজেলা সদরের ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলের ১০ লাখ ৭২ হাজার ৯১৭টি আসনে ভর্তির আবেদন করেছিল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ জন শিক্ষার্থী, তাদের মধ্যে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জনকে নির্বাচনের পর ৮ লাখ ৪৩ হাজার ১৬০টি আসন খালি আছে।

ভর্তি শুরু ১৭ ডিসেম্বর

লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর ভর্তি হতে পারবে বলে উল্লেখ করে ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব ইউনুস ফারুকী আরও বলেন, এবারও ভর্তির ক্ষেত্রে গতবারের মতো দুটি অপেক্ষমাণ তালিকা থাকবে। ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম ওয়েটিং লিস্ট থেকে এবং ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ওয়েটিং লিস্ট থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।

স্কুলে ভর্তির কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে আসেননি শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার, যদিও মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছিল, তিনি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন।

সকালে সরকারি স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারিপ্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের কলেজ শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান মিয়া এবং উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত সচিব বেগম বদরুন নাহার। পরে বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারিপ্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের প্রশাসন শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান।

ডিজিটাল লটারিপ্রক্রিয়ায় সহায়তা দেওয়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিফোন অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বেলা পৌনে ৩টায় ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব ইউনুস ফারুকীর হাতে ফলাফল হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক বি এম আব্দুল হান্নান, মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল, টেলিটক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক জাহিদ মো. ফিরোজ, টেলিটক ডিজিটাল সার্ভিসের ম্যানেজার জাহিদুর রহমানসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যে প্রথমবার স্কুলে ভর্তির জন্য লটারি পদ্ধতি চালু করা হয়। এর পর থেকে প্রতিবছর এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু

ইংরেজির সিলেবাসটা আগে বোঝা দরকার

ইতালির বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থায়িত বৃত্তি

ক্লাসে মনোযোগী হওয়ার দারুণ কৌশল

জবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু শনিবার

জকসু নির্বাচন: ৩৪ পদে লড়বেন ১৮৯ জন

শিক্ষা ক্যাডার: পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক হলেন ২৭০৬ জন

শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু, শেষ ২০ ডিসেম্বর

ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা: কলা অনুষদের লিখিত অংশের প্রস্তুতি

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল