হোম > শিক্ষা

নরওয়ের হলবার্গ পুরস্কার পেলেন গায়ত্রী স্পিভাক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

তাত্ত্বিক চিন্তাবিদ ও সমাজকর্মী গায়ত্রী স্পিভাক। ছবি: সংগৃহীত

সাহিত্য তত্ত্ব ও দর্শনে অসামান্য অবদানের জন্য চলতি বছর নরওয়ে সরকারের হলবার্গ পুরস্কার পেয়েছেন গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। গত ১৩ মার্চ প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে হলবার্গ প্রাইজ কর্তৃপক্ষ।

গায়ত্রী স্পিভাকের নাম ঘোষণা করে তাঁর সম্পর্কে হলবার্গ কমিটির সভাপতি হেইকে ক্রিগার বলেন, ‘একজন সমাজমনস্ক বুদ্ধিজীবী ও কর্মী হিসেবে, স্পিভাক প্রান্তিক গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণে কাজ করে যাচ্ছেন। বুদ্ধিবৃত্তিক ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে কার্যকর বিকল্প তৈরি করতে সৃজনশীল চিন্তা ও স্থানীয় উদ্যোগের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে চান তিনি।’

ক্রিগার আরও বলেন, ‘স্ট্র্যাটেজিক এসেন্সিয়ালিজম’ ও ‘গ্লোবাল ক্রিটিক্যালিটি’–এর মতো ধারাগুলো এখন বিশ্বজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। স্পিভাকের কাজ পাঠক, শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের চিন্তা করতে উৎসাহিত করে, যা সাহিত্য ও সংস্কৃতি অধ্যয়নের মাধ্যমে অর্জিত হয়। পশ্চিমা চিন্তার মূল কাঠামোকে সমালোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে ব্যবহার করে তিনি বৈশ্বিক আধুনিকতার কেন্দ্র ও প্রান্ত—দুই দিকেই নতুন নতুন সমালোচনামূলক বিশ্লেষণের পথ খুলে দিয়েছেন।

গায়ত্রী স্পিভাকের জন্ম ১৯৪২ সালে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

গায়ত্রী তাঁর দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে তুলনামূলক সাহিত্য, অনুবাদ, উত্তর ঔপনিবেশিক অধ্যয়ন (পোস্ট কলোনিয়াল স্টাডিজ), রাজনৈতিক দর্শন এবং নারীবাদী তত্ত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর বহুল আলোচিত প্রবন্ধ ‘ক্যান দ্য সাবঅল্টার্ন স্পিক?’ (১৯৮৮) উত্তর ঔপনিবেশিক অধ্যয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি তৈরি করেছে। সেটিতে মূলত পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করা হয়েছে, পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে প্রান্তিক গোষ্ঠীর সংগ্রামকে।

এ ছাড়া তাঁর আরও কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—ডেথ অব ডিসিপ্লিন (২২০৩), ক্রিটিক অব পোস্ট কলোনিয়াল রিজন (১৯৯৯), অ্যান এস্থেটিক এডুকেশন ইন দ্য এরা অব গ্লোবালাইজেশন (২০১২), এথিকস অ্যান্ড পলিটিকস ইন টেগোর, কোয়েৎজি অ্যান্ড সার্টেইন সিনস অব টিচিং (২০১৮)।

শুধু তাত্ত্বিক চিন্তা নন, গায়ত্রী স্পিভাক একজন সক্রিয় সমাজকর্মীও। তিনি বিভিন্ন দেশে প্রান্তিক গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণে কাজ করছেন। বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তিনি নিজ উদ্যোগে শিক্ষামূলক প্রকল্প প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করছেন।

উল্লেখ্য, হলবার্গ পুরস্কার একটি আন্তর্জাতিক সম্মাননা। নরওয়ে সরকার প্রতি বছর শিল্প, মানবিকবিদ্যা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন ও ধর্মতত্ত্বের ক্ষেত্রে বিশিষ্ট গবেষকদের এই পুরস্কার দেয়। এটি ড্যানিশ–নরওয়েজীয় লেখক ও শিক্ষাবিদ লুডভিগ হলবার্গ (১৬৮৪–১৭৫৪)–এর নামে নামকরণ করা হয়েছে।

এই পুরস্কারের অর্থমূল্য ৬০ লাখ নরওয়েজিয়ান ক্রোন বা প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। বিজয়ীর গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। হলবার্গ পুরস্কারের বিজয়ীর নাম প্রতি বছর মার্চ মাসে ঘোষণা করা হয়। জুন মাসে নরওয়ের বার্গেন শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার হস্তান্তর করা হয়।

পরীক্ষা নিয়ে স্কুলে মুখোমুখি শিক্ষক-অভিভাবকেরা

শাবিপ্রবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ৮ ডিসেম্বর

ব্যাংকে ব্যবহৃত ১০টি ইংরেজি বাক্য: (পর্ব-১)

চীনের চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তি

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: বাংলায় বাড়তি প্রস্তুতি চাই

সরকারি স্কুলে ভর্তির বয়স নিয়ে নতুন নির্দেশনা মাউশির

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারির দাবিতে লাগাতার অবস্থানের ডাক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে ২৮ ডিসেম্বর, অনলাইন ক্লাস বন্ধ হবে তার আগেই

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি: ৫ দফা দাবিতে ইডেনের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ফোসেপ প্রকল্প : কেনাকাটায় হাতখোলা মাউশি