অ্যামাজন ভারতে ছোট ব্যবসার জন্য ঋণ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আর ওয়ালমার্টের মালিকানাধীন ফ্লিপকার্ট নজর দিচ্ছে ‘বাই নাউ, পে লেটার (বিএনপিএল)’ সেবার দিকে। আর্থিক পণ্যের এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই ই-কমার্স জায়ান্ট ভারতের ব্যাংকগুলোর বাজারে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে চাচ্ছে।
চলতি বছরের শুরুতে অ্যামাজন বেঙ্গালুরুভিত্তিক নন–ব্যাংক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাক্সিওকে অধিগ্রহণ করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বিএনপিএল ও ব্যক্তিগত ঋণ পরিষেবার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। শিগগির তারা আবারও ছোট ব্যবসার জন্য ঋণ দেওয়া শুরু করবে এবং নগদপ্রবাহ ব্যবস্থাপনার সমাধানও চালু করবে।
অ্যামাজনের উদীয়মান বাজারের পেমেন্ট বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মহেন্দ্র নেরুরকার বার্তা সংস্থা রয়টার্সেক বলেন, ‘আমরা ভারতে ক্রেডিট সম্প্রসারণের জন্য বিপুল সুযোগ দেখছি; বিশেষ করে, ডিজিটালি সংযুক্ত গ্রাহকদের এবং ছোট ব্যবসার মধ্যে, যারা প্রধান শহরগুলোর বাইরে রয়েছে।’
মহেন্দ্র নেরুরকার আরও বলেন, কোম্পানি ব্যবসায়ীদের নগদপ্রবাহ ব্যবস্থাপনা উন্নত করা ও মূলধন উন্মুক্ত করতে ‘প্রয়োজনভিত্তিক ঋণ প্যাকেজ’ তৈরি করবে।
অ্যামাজনের পরিকল্পনার বিস্তারিত আগে কখনো প্রকাশিত হয়নি।
এদিকে ওয়ালমার্টের প্রায় ৮০ শতাংশ মালিকানাধীন ফ্লিপকার্ট গত মার্চে তাদের নন–ব্যাংক ঋণদাতা শাখা ‘ফ্লিপকার্ট ফাইন্যান্স’ নিবন্ধন করেছে এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিআই) চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
কোম্পানির নথিতে পরিকল্পিত দুটি ‘পে লেটার’ পণ্যের কথা উল্লেখ আছে—অনলাইন ক্রেতাদের জন্য ৩ থেকে ২৪ মাস মেয়াদি নো-কস্ট মাসিক কিস্তি ঋণ এবং টেকসই ভোক্তা পণ্য কেনার জন্য বার্ষিক ১৮ থেকে ২৬ শতাংশ সুদে ঋণ।
ভোক্তা পণ্য কেনার জন্য প্রচলিত ঋণদাতারা সাধারণত বছরে ১২ থেকে ২২ শতাংশ হারে সুদ নেন।
ফ্লিপকার্ট আগামী বছর থেকে এসব আর্থিক পণ্য চালু করতে চায় বলে কোম্পানির পরিকল্পনা সম্পর্কে অবগত এক সূত্র জানিয়েছে।
সূত্রটি সংবাদমাধ্যমে কথা বলার অনুমতি না থাকায় পরিচয় প্রকাশে রাজি হয়নি। ফ্লিপকার্ট ও আরবিআই রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।