সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ হবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের টাকা। আর চলতি মাসেই বিনিয়োগ শুরু করবে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে শেষ খবর পর্যন্ত পেনশন স্কিমে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চাঁদা পরিশোধ করেছেন। তাঁদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ১০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জমা হওয়া চাঁদার পরিমাণ কম হওয়ায়, তা শুধু সরকারি সিকিউরিটিজ বা ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ হবে। চাঁদা দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা। জমা পড়া চাঁদার অর্ধেকেরও বেশি দিয়েছেন তাঁরা।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য চালু করা প্রগতি স্কিমে নিবন্ধন করে এরই মধ্যে চাঁদা পরিশোধ করেছেন ৬ হাজার ৫৪৩ জন। তাঁদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ৫ কোটি ৫১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাক। অর্থাৎ সর্বজনীন পেনশনে এখনো পর্যন্ত যে চাঁদা জমা পড়েছে তার ৫২ দশমিক ৯৯ শতাংশ জমা দিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা।
চাঁদা দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত যেমন—কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি পেশার ব্যক্তিরা। তাঁদের জন্য চালু করা হয়েছে সুরক্ষা স্কিম। এই স্কিম গ্রহণ করে চাঁদা পরিশোধ করেছেন ৫ হাজার ৬৮০ জন। তাঁদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘চলতি মাসের মধ্যেই পেনশনের তহবিল বিনিয়োগ শুরু হবে। টাকার অঙ্ক কম হওয়ায় তা বিনিয়োগ হবে সরকারি সিকিউরিটিজে ও বন্ডে। পরে টাকার পরিমাণ বাড়লে অন্য খাতেও বিনিয়োগের চিন্তা করা হবে।’ এর পাশাপাশি পেনশনে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়াতে শিগগিরই প্রচারণা চালানো হবে বলেও জানান তিনি।
গত ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। এর পরপরই শুরু হয় অনলাইনে আবেদন। সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর পর এরই মধ্যে দেড় মাস পার হয়েছে। তবে প্রথমদিকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করে যে হারে মানুষ চাঁদা জমা দিয়েছেন, ধীরে ধীরে তার পরিমাণ কমেছে।