বেসরকারি চাকরিজীবীদের করযোগ্য আয় নির্ধারণের সময় তাঁরা যে ব্যয় বা খরচের ভিত্তিতে কিছু আয় বাদ দিতে পারেন, তার সর্বোচ্চ সীমা আগে ছিল সাড়ে ৪ লাখ টাকা। এবার তা বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। আজ সোমবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এ কথা জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি চাকরিজীবীদের করযোগ্য আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বাদযোগ্য অঙ্কের পরিমাণ সাড়ে ৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
বেসরকারি চাকরিজীবীরা বছরে যা বেতন পান, সেটি থেকেই করযোগ্য আয় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কিছু খরচ, যেমন—হাউস রেন্ট, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা ইত্যাদি আয় থেকে বাদ দেওয়া যায়, যাকে বলে অ্যালাউয়েবল এক্সেম্পশন্স। আগে এই বাদ দেওয়া অঙ্ক সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। এখন সেটি ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে।
একজন বেসরকারি চাকরিজীবীর বার্ষিক বেতন ১০ লাখ টাকা হলে তার মধ্যে হাউস রেন্ট, চিকিৎসা ভাতা ইত্যাদি মিলে ৬ লাখ টাকা বাদযোগ্য। আগে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত বাদ দেওয়া যেত। এতে করযোগ্য আয় দাঁড়াত ১০ লাখ থেকে সাড়ে ৪ লাখ বাদ দিয়ে সাড়ে ৫ লাখ টাকা। কিন্তু এখন থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বাদ দেওয়া যাবে। ফলে করযোগ্য আয় দাঁড়াবে ১০ লাখ-৫ লাখ=৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ, করযোগ্য আয় কমে যাওয়ায় তার ওপর করও কম দিতে হবে।
এর প্রভাবে বেসরকারি চাকরিজীবীরা কিছুটা বেশি করছাড় পাবেন। তাঁদের করযোগ্য আয় কমবে, তাই কর কমে আসবে।
আরও খবর পড়ুন: