অনুদান হিসেবে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ ইউরো সমমূল্যের অর্থ দেবে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)। এই লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে আইওএমের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী ও আইওএম বাংলাদেশের মিশনের প্রধান ল্যান্স বনেউ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইআরডি ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্টেংগেথান সার্ভিস ডেলিভারি সিস্টেমস ফর ইম্প্রুভ মাইগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবল রিনটিগ্রেশন’ (উন্নত অভিবাসন ব্যবস্থাপনা ও টেকসই পুনরায় একত্রীকরণের জন্য শক্তিশালী পরিষেবা সরবরাহব্যবস্থা) শীর্ষক প্রকল্পের জন্য এই চুক্তি হয়। আইওএমের চার বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ফান্ডের সহায়তা করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিবাসন ও পুনএকত্রীকরণ সম্পর্কিত উদ্যোগগুলোকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো—দেশে লিঙ্গ প্রতিক্রিয়াশীলে অবদান রাখবে। অধিকারভিত্তিক অভিবাসন ও পুনঃএকত্রীকরণ পরিষেবাগুলোকে শক্তিশালী করবে, যা নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন অনুশীলন এবং অভিবাসী ও প্রত্যাবর্তনকারীদের টেকসই পুনঃএকত্রীকরণ নিশ্চিত করে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য দুটি প্রধান ফলাফলের মাধ্যমে এটি অর্জন করা, অভিবাসন পরিষেবা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রত্যাবর্তনকারীদের সহায়তা করা।
বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে আইওএমের পুনঃএকত্রীকরণ সহায়তা প্রদানে ৪০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং দশক ধরে সবার সুবিধার জন্য অভিবাসন শাসন শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে আসছে। মানবিক ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন প্রচারকারী শীর্ষস্থানীয় আন্তসরকারি সংস্থা হিসেবে আইওএম ২০৩০ সালের এজেন্ডা ও গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর সেফ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসনের (জিসিএম) মতো অন্যান্য বৈশ্বিক কাঠামো অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।