টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভায় খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয়ের (ওএমএস) আটা কিনতে সাধারণ ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। তাঁরা মাইকিং শুনে আটা কিনতে এসেছেন। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরও আটা না পেয়ে অনেকে শূন্য হাতে ফিরে গেছেন।
আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) পৌরসভার ওএমএসের দুটি ডিলারের দোকানে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
নিম্ন আয়ের মানুষ সুলভ মূল্যে এই আটা কিনতে না পেরে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২৪ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি ৫ কেজি আটা বিক্রি করছেন ডিলাররা। প্রথম দিন আজ উপজেলা সদরের দুজন ডিলারকে ৫০০ কেজি করে আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সকালে মির্জাপুর পৌরসভার জহুরবাড়ি মোড় ও পুষ্টকামুরী সওদাগরপাড়ার দুটি ডিলার পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন। সেখানে আটা বিক্রি শুরু করার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে বরাদ্দ করা ৫০০ কেজি আটা শেষ হয়ে যায়। এতে আটা কিনতে আসা ক্রেতারা আটা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা লালন মিয়ার স্ত্রী জরিনা বেগম বলেন, ‘২৪ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রির কথা বলে গতকাল রোববার মাইকিং করা হয়েছে। মাইকিং শুনে আটা কিনতে এসেছি। সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও আটা কিনতে পারলাম না।’ যদি অল্পসংখ্যক মানুষকেই আটা দেওয়া হবে, তাহলে মাইকিং করল কেন বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
একই ওয়ার্ডের ডিলার মান্নান খান মান্না জানান, আটা বিক্রি শুরু করার ঘণ্টার দুয়েকের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকে আটা না পেয়ে চলে গেছেন।
১ নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, আজকে যাঁরা আটা কিনতে এসে ফিরে গেছেন, পরবর্তী দিনে তাঁদের কাছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আটা বিক্রি করা হবে। তবে চাহিদার কথা বিবেচনা করে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানান এ ডিলার।
মির্জাপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুবি আক্তার বলেন, ‘প্রতি উপজেলার জন্য ১ টন আটা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমরা ওই বরাদ্দ দুজন ডিলারকে সমানভাবে ভাগ করে দিয়েছি। বরাদ্দ বাড়ালে সুবিধাভোগীর সংখ্যাও বাড়বে।’