পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া একটার দিকে মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাস এলাকায় অবরোধ করেন তারা। দফায় দফায় পুলিশ-প্রশাসনের অনুরোধের পর আড়াইটার দিকে মহাসড়ক থেকে শিক্ষার্থীরা সরে গেলে চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বেলা সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ে অবস্থান নেয়। এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে নিরালা মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় হামলা ও ধাওয়া করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান। এ সময় ছাত্রলীগের হামলায় ৩ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।
পরে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের কোটা সংস্কার আন্দোলনের কয়েক শ শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে শহরে প্রবেশ করছে এমন খবরে নিরালা মোড়ে অবস্থান করা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চলে যায়।
পরে আন্দোলনকারীরা শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হয়। সেখানে তারা এক ঘণ্টা কবি নজরুল সড়ক অবরোধ করে রাখে। এর পর তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করার জন্য এগিয়ে যেতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রেসক্লাবের সামনে ও পুরোনো বাসস্ট্যান্ডে পুলিশ বাঁধা দেয়। পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাসে অবস্থান নেয়।
টানা এক ঘণ্টা আন্দোলনকারীরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয় এবং বিভিন্ন প্রকার প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে। পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধে আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, অবরোধ পালনে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সড়ক অবরোধ করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা বা কোনো প্রকার জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।