ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উত্তরবঙ্গের দিকে ৩৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের কবলে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো লোকজন। তবে স্বস্তিতে চলাচল করতে পারছে ঢাকাগামী পরিবহনগুলো।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়কের ৩৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পরিবহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হওয়ায় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকেরা। বাস না পেয়ে বিকল্প হিসেবে পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে গাদাগাদি করে যাচ্ছে মানুষ। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে।
সরেজমিনে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশন এলাকায় দেখা গেছে, শত শত পরিবহন সেতু পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। বেশির ভাগই ট্রাক। ট্রাকে যাত্রীরা ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
এদিকে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আশিকপুর বাইপাস এলাকা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী লেনে যানজট রয়েছে। তবে ফাঁকা রয়েছে ঢাকাগামী লেন। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এলাকার দুই লেনের সড়কেও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাত থেকে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেড়েছে। সড়কে ফিটনেসবিহীন পরিবহনগুলো দীর্ঘ সময় চালানোর পর বিকল হয়ে যায়। আবার সেতুতে ওঠার পরও কিছু কিছু পরিবহন বিকল হয়ে পড়লে টোল আদায়ে বিঘ্ন ঘটে। পরে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি উদ্ধার হলে গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে সেতু পারাপার হয়।
বসুন্ধরা থেকে প্রাইভেটকার করে আসা পুলক জানান, রাত ৯টায় বাসা থেকে বের হয়েছি ভূঞাপুর যাব। কিন্তু যানজটের কারণে আমার প্রায় ১৪ ঘণ্টা সময় লেগে গেছে। যেখানে যানজটে না পড়লে ৪ ঘণ্টায় আসা যায়।
মহাসড়কের এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আতাউর রহমান জানান, সকাল থেকেই পরিবহন ধীর গতিতে চলাচল করছে। সেতুতে টোল আদায়ে কিছুটা সময় লাগায় সড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। এতেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।