কোমল পানীয়, চিপস, চানাচুর খেতে পছন্দ করে রাজা আর বাদশাহ। আপেল, কমলাও আছে তাদের খাবারের মেনুতে। আশ্চর্য ব্যাপার হলো, রাজা ও বাদশা দুটি ছাগলের নাম। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার সার পলশিয়া গ্রামে ছাগল দুটি দেখতে প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকেও আসছে মানুষ।
ছাগল দুটির মালিক সার পলশিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল জানান, দেড় বছর আগে স্থানীয় হাট থেকে ৩০ হাজার টাকায় ছাগল দুটি কেনেন। আদর করে একটির নাম রাখেন রাজা, আরেকটির বাদশা। শখের বসে কেনা ছাগল দুটিকে খুব যত্নের সঙ্গে লালন-পালন করে আসছেন তিনি। নাম যেমন রাজা-বাদশাহ, তেমনি ভোজনরসিক ছাগল দুটি। এদের পছন্দের খাবারের তালিকায় রয়েছে চানাচুর, চিপসসহ বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন—আপেল, আঙুর, কলা। টাইগার, স্পিড, কোকাকোলাসহ বিভিন্ন কোমল পানীয়ও এদের প্রিয়। এ ছাড়া সাধারণ খাবার ভুসি, কাঁঠালপাতা—এসবও খাওয়ানো হয়।
শখের বসে লালন-পালন করলেও ভালো দাম পেলে কোরবানির ঈদে রাজা-বাদশাহকে বিক্রির চিন্তাভাবনা করছেন আব্দুল জলিল ও স্ত্রী ফিরোজা বেগম।
জলিল বলেন, প্রতিদিন বাড়িতে ছাগলের ক্রেতারা আসছেন। অনেকেই ২ লাখ টাকা দাম হাঁকান। এখানে বিক্রি করতে না পারলে কয়েক দিন পর হাটে নিয়ে যাব। দুটি ছাগলের মূল্য নির্ধারণ করেছি ৩ লাখ টাকা। দেড় বছরে খেয়েছে এক লাখেরও বেশি টাকার খাবার।
ছাগল দুটির মাথা, গলায় কালোর প্রভাব বেশি, তবে শরীরের বাকি অংশ চকচকে সাদা। লোম কোঁকড়ানো। ধারালো শিং দুটোও নজর কাড়ে। আব্দুল জলিলের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, বিশাল আকৃতির রাজা-বাদশাহকে দেখতে ভিড় করছে উৎসুক মানুষ। এদের কেউ কেউ প্রতিবেশী, কেউ আবার এসেছেন বেশ দূরে থেকে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাসেম বলেন, ‘জলিলের নিজের পালিত ছাগল দুটির দাম চাইছেন ৩ লাখ টাকা। রাজা-বাদশাহর দাম গরুর দামের চেয়েও বেশি। তাই ছাগল দুটি দেখতে আসছি।’
পাকুল্লা থেকে দেখতে আসা মিজান বলেন, ‘লোকমুখে শুনে আমার বিশ্বাস হয়নি ছাগলে এমন খাবার খায়। তাই নিজ চোখে দেখতে এসেছি।’
স্থানীয় ফল দোকানদার রবিন ও হাসিব বলেন, রাজা-বাদশার জন্য আমাদের এখান থেকে প্রতিদিন নানা রকম ফল কিনে নেওয়া হয়। এ ছাড়া বিকেল হলেই জলিলের সঙ্গে বাজারে আসে।