টাঙ্গাইলের সখীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে অতিথি না করায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের আয়োজন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার এর প্রতিবাদে উপজেলার জিতাশ্বরী বাজারে আয়োজিত মানববন্ধনেও বাধা প্রদান করেছে ওই চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও দুই পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের জিতাশ্বরী বাজার এলাকার ‘মুজিব স্মৃতি সংসদ’ নামের একটি সংগঠন কেক কাটা, দোয়া মাহফিল ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে। এতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেনকে অতিথি না করায় তাঁর সমর্থকেরা এসব আয়োজনে বাধা প্রদান করে। এতেও আয়োজন বন্ধ না করায় চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা ওই একই স্থানে কর্মসূচি ঘোষণা করে। ফলে দুপক্ষের সংঘর্ষের আশঙ্কায় জিতাশ্বরী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত প্রীতি ফুটবল খেলাটি বাতিল হয়ে যায়।
এর প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ‘মুজিব স্মৃতি সংসদ’ জিতাশ্বরী বাজারে মানববন্ধনের আয়োজন করে।
অন্যদিকে মানববন্ধনে বক্তব্য চলাকালীন সময়েই ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেনের সমর্থকেরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। একপর্যায়ে আয়োজকেরা মানববন্ধন কর্মসূচি বন্ধ করতে বাধ্য হন। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেনের সমর্থক ও স্থানীয় বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের সমঝোতায় খেলাটি বন্ধ হয়েছে। এখন তারা মিথ্যা অজুহাতে মানববন্ধন করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছিল। তাই আমরা ওই মানববন্ধনের প্রতিবাদ করেছি। মিথ্যা কথা বলে কাউকে গ্রামের ইজ্জত নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাকড়াজান ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি নিজেও আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। ১৭ মার্চ আমিও কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন করেছি। জিতাশ্বরীর ওই ঘটনার বিষয়ে আমাকে কেউ কিছুই জানায়নি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকও কিছু জানেন না। তবে ওই এলাকার একটি পক্ষ নির্বাচনী প্রতিহিংসা বশত আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওসমান বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দুই পক্ষের পাঁচজন করে ১০ জনকে থানায় ডাকা হয়েছে।