ঈদুল আজহা উদ্যাপনের জন্য তীব্র গরমের মধ্য শেষ মুহূর্তে পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরছে লাখো মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে কয়েক গুণ যানবাহনের চাপ বেড়েছে। মহাসড়কের টাঙ্গাইলের করাতিপাড়া বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পূর্ব টোল প্লাজার প্রায় ২৮ থেকে ৩০ কিলোমিটার পথে যানজটের সৃষ্টি হয়।
আজ শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু পূর্ব টোল প্লাজা ও গোলচত্বর ঘুরে দেখা গেছে, যমুনা সেতু পারাপারের অপেক্ষায় হাজার হাজার যানবাহন করছে। যানজটের কারণে এই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছেন যাত্রী ও চালকেরা। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।
জানা গেছে, যমুনা সেতুর টোল আদায় মাঝেমধ্যে বন্ধ রাখা, মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহন বিকল, এলোমেলো গাড়ি চলাচলের কারণে যানজট ও ভোগান্তি পড়তে হচ্ছে ঘরমুখী মানুষের। যানজট কম হওয়ায় যদিও গত ঈদে ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক ছিল।
তবে, এসব সমস্যা রোধে সার্বক্ষণিক সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
যমুনা সেতু গোলচত্বর এলাকায় কথা হয় ইমরান হোসেন, সেলিম, ইশরাত খাতুনসহ আরও বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে। তাঁরা বিভিন্ন পোশাক কারখানার কর্মী।
ইসরাত খাতুন বলেন, আশুলিয়া থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ট্রাকে উঠেছেন রংপুরের তারাগঞ্জের উদ্দেশে। কিন্তু সেখান থেকে সেতু পূর্ব গোলচত্বরে আসতে তাঁদের সময় লেগেছে প্রায় ১৫ ঘণ্টার মতো। তীব্র গরমে শিশুদের নিয়ে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগে পড়ছেন। এমন ভয়াবহ যানজটে কোনোবার তাঁরা পড়েননি।
নীলফামারীগামী তয়েস এন্টারপ্রাইজের বাসচালক সোহেল রানা বলেন, ‘মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে রাবনা বাইপাস থেকে সেতু টোল প্লাজা পর্যন্ত ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। এলেঙ্গা-সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বেশি যানজটের কবে পড়তে হচ্ছে।’[
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে আজ শুক্রবারও যানবাহনের অনেক চাপ রয়েছে। দুর্ভোগ ও যানজট নিরসনে কাজ করছি।’
অপর দিকে, যমুনা সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েস আহমেদ বলেন, ‘মহাসড়কে চাপ থাকলেও ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’