কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) বলেছেন, ‘যত বেশি ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত হবে, ততই গণতন্ত্রের মুক্তি হবে, গণতন্ত্রের সম্মান বাড়বে, বাংলাদেশের সম্মান বাড়বে।’
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সখীপুর উপজেলার তালতলা চত্বরে গামছা প্রতীকের এক নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় স্মৃতিচারণা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পথ দিয়ে মধুপুর যাওয়ার সময় একটি পথসভায় দাঁড়িয়েছিলেন। সেইখানে একসময়ের (প্রয়াত) রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বলেছিলেন, আমরা সাত মন্ত্রী আর কাদের সিদ্দিকী একাই আমাদের সমান।’
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এবার যদি কেন্দ্রে ভোটার না হয়, সম্মান যাবে শেখ হাসিনার-নৌকাওয়ালাদের। পৃথিবীর কাছে অর্ধেক হয়ে যাবে শেখ হাসিনা।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের দাবি হচ্ছে, বন আইন বাতিল করা। আমরা এখানে বনের সংসদীয় কমিটিকে এনেছিলাম। তারা সুপারিশ করেছে—যেখানে যে আছে, সে থাকবে। বন বিভাগ কোনো অত্যাচার করতে পারবে না, কারও ঘর-বাড়ি ভাঙতে পারবে না। সেই সুপারিশ আইনে পরিণত হয় নাই।
‘আমি যদি বেঁচে থাকি সেই সুপারিশ আইনে পরিণত করব, ইনশা আল্লাহ। সখীপুরের মানুষ খাজনা দিতে পারে না, নিজেদের জমিজমা বিক্রি করতে পারে না, এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না।’
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যে যাই বলে বলুক, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। ছেলেরা যদি পাগল হয়ে বাবাকে গালি দেয়, তাহলে ছেলেরই ক্ষতি হবে। দেশকে রক্ষা করে, দেশকে স্বাধীন করে–আমার যদি অন্যায় হয়ে থাকে, সে বিচার করবেন আল্লাহ। এই মাতালদের বিচারের কোনো দরকার নাই।’
আরও বক্তব্য দেন কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিণী নাসরিন সিদ্দিকী, বড় মেয়ে ব্যারিস্টার কুড়ি সিদ্দিকী, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সহসভাপতি সানোয়ার হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিক জাহাঙ্গীর, আবু জাহিদ রিপন, আলমগীর সিদ্দিকী প্রমুখ।