নির্ধারিত সময় পার হলেও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ১৩ কিলোমিটার সড়কের সংস্কারকাজ এখনো শেষ হয়নি। মেয়াদের দীর্ঘ সময়ে অর্ধেকের সমপরিমাণ সংস্কার হলেও তার মান নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। বর্তমানে স্থবির হয়ে আছে সংস্কারকাজ। বাকি অর্ধেক রাস্তা শতাধিক বড় বড় ডোবায় পরিণত হয়েছে। রয়েছে অসংখ্য ছোট–বড় খানাখন্দ। এ অবস্থায় যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচারীরা।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথ জিসি থেকে জগন্নাথপুর সীমানা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৯ কিলোমিটার সড়ক, ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর সংস্কারকাজ শুরুর অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। ২৩ কোটি ৪৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দের এই কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শাওন এন্টারপ্রাইজ। ১৩ দশমিক ৯ কিলোমিটারের মধ্যে বিভিন্ন অংশে আরসিসি ঢালাই ধরা হয় প্রায় ১৮ মিটার। করোনাসহ বিভিন্ন কারণে অনুমতির ছয় মাস পর কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের আগস্টে। কিছুদিন কাজ করার পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আরও তিন–চার মাস কাজ বন্ধ রাখা হয়। এ অবস্থায় টেন্ডার বাতিল হওয়ার উপক্রম হলে তাঁর অন্য সহযোগীকে কাজ বুঝিয়ে দেন। পরে সব মিলিয়ে ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেন তাঁরা। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের কঠোর লকডাউন আর বৃষ্টির কারণে স্থবির হয়ে পড়ে সড়ক সংস্কারের কাজ। এর মধ্যেই চলে যায় কাজের নির্ধারিত সময়। বর্তমানে এ অবস্থায় বাকি অংশ সংস্কার নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
স্থানীয়রা জানান, সময়মতো কাজ শুরু হলে এই ভোগান্তি আমাদের পোহাতে হতো না। অর্ধেক অবশিষ্ট থাকায় বৃষ্টির পানি জমে গিয়ে অবস্থা হয়েছে আরও নাজুক। ছোট-বড় ডোবা আর কাদামাটিতে একাকার পুরো রাস্তা। বাগিচাবাজার ও পীরেরবাজার এলাকার অংশে বড় বড় পুকুরে পরিণত হয়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কাজ শেষ হওয়া অংশেও রয়েছে ত্রুটি।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, মূল কাজের মধ্যে বাকি আছে প্রায় সাত–আট মিটার।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ বলেন, এরই মধ্যে প্রায় অর্ধেক কাজ সমাপ্ত হয়েছে। করোনা ও বৃষ্টি থাকায় সংস্কারকাজ কিছুটা পিছিয়ে। যেহেতু কাজটি চলমান, সেহেতু লকডাউন শিথিল হলে আরও লেবার বাড়িয়ে যত দ্রুত সম্ভব কাজটি সম্পন্ন করা হবে।