মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা নাজমুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি তাফাজ্জুল আলী (৩৫) ও খালেদা নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে গেল মঙ্গলবার মামলার আসামি আমির হোসেন ওরফে হীরা (৪০) ও জুয়েল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত তিনজন ও অজ্ঞাতনামা একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান।
মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি তাফাজ্জুল আলী ও অন্য একজনকে গভীর রাতে ঢাকার কমলাপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম এতে অংশগ্রহণ করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি পাসপোর্ট, বিদেশ যাওয়ার টিকিট, ভিসা ও বেশ কিছু সিম উদ্ধার করা হয়।
এ দিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, আজ মামলার প্রধান আসামি তাফাজ্জুলসহ এজাহারভুক্ত তিন ও অজ্ঞাত একজন নিয়ে মোট চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিদ্রুত এই মামলার সকল আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হবে। চৈত্রঘাট বাজার নিয়ে সমস্যা হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ২টায় একটি কালো মাইক্রোবাসযোগে দুর্বৃত্তরা চৈত্রঘাট বাজারে এসে হঠাৎ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত নাজমুল হাসান রহিমপুর ইউনিয়নের লুকুস মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই শামসুল মিয়া বাদী হয়ে গেল সোমবার ১৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে থাকেন প্রধান আসামি তাফাজ্জুলসহ অন্যান্য আসামিরা।