সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অবৈধভাবে উত্তোলন করা সাদাপাথর ও বালু নিতে আসা চারটি নৌকা আটক করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার রাতে উপজেলার কলাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দারা ধলাই সেতু এলাকা থেকে নৌকাগুলো আটক করে পুলিশে দেন।
স্থানীয়রা জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর, শাহ আরেফিন টিলা ও বাংকার থেকে দিনদুপুরে অবাধে বালু-পাথর লুটপাট চলছে। আগে বারকি নৌকা দিয়ে সাদাপাথর ও বাংকার লুট হলেও বর্তমানে স্টিল বডির বড় বড় নৌকা দিয়ে লুটপাট চলছে বালু ও পাথর। এসব লুটপাট করতে কোম্পানীগঞ্জের পাশাপাশি সুনামগঞ্জ ও অন্যান্য স্থান থেকে স্টিল বডির নৌকা নিয়ে আসে এসব লুটপাটকারীরা। এসব কাজে রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকজন জড়িত থাকায় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ কারণে আর কোনো উপায় না পেয়ে এখন স্থানীয়রা যতটুকু পারছেন এসব লুটপাট বন্ধে নৌকা আটকাচ্ছেন, বুঝিয়ে নৌকা ফিরিয়ে দিচ্ছেন যাতে আর লুট না হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, গতকাল রাতে পাহারা দেওয়ার সময় সাদাপাথর লুট করতে আসা ছয়টি নৌকাকে ধাওয়া করেন উপজেলার কলাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দারা। চারটি নৌকা আটক করতে সক্ষম হন তাঁরা। পরে রাতে পুলিশ এসে তাঁদের কাছ থেকে ওই নৌকাগুলো তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। তবে এখনো অভিযুক্ত কাউকে শনাক্ত বা আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে কলাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ূন রশীদ হুমন বলেন, ‘এখন প্রতিদিনই বারকি নৌকা ও স্টিল বডি নৌকা দিয়ে সাদাপাথর লুটপাট হয়। আমরা এর আগেও তিনটি নৌকা আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছি।’ সর্বশেষ চারটি নৌকা আটকের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশ চাইলে জড়িতদের শনাক্ত করে আটক করে ব্যবস্থা নিতে পারত। কেননা, ওই চারটি নৌকার একটি নৌকা মালিকের নামসহ তার ফোন নম্বর ও এলাকার ঠিকানা দেওয়া।’
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, ‘আটক করা নৌকাগুলোতে বালু বা পাথর কোনো কিছু ছিল না। তবে তারা বালু কিংবা পাথর আনতেই গিয়েছিল, এটা সত্য। নৌকাগুলো আমরা জব্দ করেছি। এর সঙ্গে কারা জড়িত, আমরা এখনো কোনো তথ্য পাইনি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
নৌকাতে মালিকের নাম ও ফোন নম্বর থাকার কথা বললে ওসি বলেন, ‘যদি এ রকম কিছু থেকে থাকে, তাহলে আমরা দেখব।’